ক্লাসরুমেই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজোলের একটি জুনিয়র হাইস্কুলে৷

0
177

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- ক্লাসরুমেই ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গাজোলের একটি জুনিয়র হাইস্কুলে৷ এই ঘটনায় নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ৷ ধৃতদের একজন আবার নির্যাতিতার বান্ধবীর দাদা৷ গোটা ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নির্যাতিতার মা৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোল জুড়ে৷
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার৷ ওই জুনিয়র স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা ৩৭৷ শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন৷ সেদিন অসুস্থতার জন্য তিনি স্কুল যাননি৷ একই কারণে সোমবারও স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, শনিবার হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে গিয়েছিল৷ তবে শিক্ষক না থাকায় পঠনপাঠন হয়নি৷ তারা মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যায়৷ তবে খাবার খাওয়ার পরেও নির্যাতিতা ও তার এক বান্ধবী স্কুলে ছিল৷ সেই সময় বহিরাগত তিন যুবক স্কুলে ঢোকে৷ তাদের মধ্যে একজন ছাত্রীদেরই এক বান্ধবীর দাদা৷ তারা দু’জনকেই দোতলায় টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে৷ কিন্তু এক ছাত্রী কোনওমতে তাদের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়৷ এরপরেই ওই তিন যুবক এক ছাত্রীকে দোতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ এদিকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীটি নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে সব কথা খুলে বললে স্কুলে ছুটে যান মা৷
নির্যাতিতার মা বলছেন, “এই ঘটনার জন্য দায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ সেদিন খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে গিয়ে দেখি, দোতলার ঘরে বসে মেয়ে কাঁদছে৷ অনেক জিজ্ঞাসা করলেও সে কিছু বলেনি৷ বাড়ি ফেরার পর মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে৷ এরপরেই গতকাল আমি গাজোল থানায় তিন যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি৷ পুলিশ তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে৷”
এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই গতকাল রাতে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে গাজোল থানার পুলিশ৷ ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আজ ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তিনজনেরই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here