পয়লা বৈশাখেই সরগরম জলপাইগুড়ির পরিবেশ।

0
271

নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়িঃ- স্বামী স্ত্রীর আত্মহত্যা, জীবিত কন্যা কে ভয়ভীতি প্রদর্শন, যুব তৃনমূল জেলা সভাপতির বিরূদ্ধে, এস পি দ্বারস্থ অসহায় মেয়ে, খোঁজ নেবার আশ্বাস এস পির, কোনো রাজনীতি নেই দাবি বিজেপির। পয়লা বৈশাখেই সরগরম জলপাইগুড়ির পরিবেশ।

জলপাইগুড়ির সমাজ কর্মী দম্পতির জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, ভয়ভীতি প্রদর্শন, তৃণমুল যুব সভাপতির হোয়াটসঅ্যাপ কল। এস পির দ্বারস্থ একমাত্র জীবিত কন্যা। কোনো তদন্তকারি সংস্থা সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না, দাবি, জেলা তৃণমুল যুব সভাপতির। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে জানালেন, এস পি।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরের দুই সমাজ কর্মী অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং ওনার স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্য এর জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং উদ্ধার সুইসাইডাল নোট নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত।
মৃত সুবোধ ভট্টাচার্য এর আপন দিদি শিখা চ্যাটার্জি ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ভারতীয় দন্ড বিধির ৩০৬ ধারা সহ একাধিক ধারায় পলিশ একটি মামলা ও ঋজু করেছে, অভিযুকদের তালিকায় জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমুল যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমুল নেতাদের নাম রয়েছে শিখা দেবীর করা মামলায়। যোদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত পুলিশ কাওকে গ্রেফতার করেনি। উল্লেখ্য,,,, মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যই ছিলেন সেই ব্যাক্তি যিনি দু হাজার সতেরো সালে বিভিন্ন হোম থেকে শিশু বিক্রি এবং পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছিলেন, পরবর্তিতে যার তদন্ত ভার নেয় রাজ্য পুলিশের সি আই ডি। এবং বর্তমানে চন্দনা চক্রব্ত্তী এবং তার ভাই মানস, জেল বন্দী থাকলেও মৃত সুবোধ বাবুর সুইসাইডাল নোটে সেই সময় শিশু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এমন অনেক কেই প্রভাবশালি বলে পলিশ গ্রেফতার করেনি, এমনটাই উল্লেখিত ।
অপরদিকে মৃত দম্পতির একমাত্র জীবিত কন্যা সন্তান তানিয়া ভট্টাচার্য শনিবার এই ঘটনার পর থেকে তারপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করার পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে জেলা পলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন।
প্রায় চার পাতার লিখিত বিবরণ সরকারী ভাবে জমা দেবার পর উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান,
আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, কারন নানান ভাবে আমাকে ভয় দেখানো হচ্ছে, আমি তাই এস পি সাহেবের কাছে সব লিখিত ভাবে জানাতে এসেছি।
অপরদিকে জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত তথা তৃনমূল জেলা যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, কোনো তদন্তকারী সংস্থা এই জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না।
অপরদিকে অফিসে উপস্থিত না থাকায় জেলার পলিশ সুপার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তানিয়া ভট্টাচার্য এর লিখিত আবেদনের কথা জেনেছি, খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানতে হবে।
এদিকে বিজেপি দলের হয়ে এই প্রসঙ্গে সৌজিত সিংহ রায় ধর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন এই সব বলে নিজেদের অপরাধ লুকোনোর চেষ্টা করছেন তারা, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here