মানসিক ভারসাম্যহীন বছর বাইশের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।

0
202

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—-মানসিক ভারসাম্যহীন বছর বাইশের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।অভিযোগ,রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় জোরপূর্বকভাবে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতিকে বাড়িতে এনে ধর্ষণ করেন ওই প্রতিবেশী
যুবক।ধর্ষণের ফলে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা
হয়ে পড়েন ওই যুবতী।এই ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।

নির্যাতিতা যুবতির পরিবারের অভিযোগ,
অজান্তে ধর্ষকের স্ত্রী ও আত্মীয়রা স্থানীয় এক কোয়াক ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যায়।চুপিসারে অভিযুক্তরা বাড়িতে ডেকে নিয়ম মেনে গর্ভপাতের ঔষুধ খাওয়াতেন।গর্ভপাত হওয়ার আগেই শারীরিক অবনতি ঘটে যুবতির। শুরু হয় রক্তক্ষরণ।তারপরেই নজরে আসে পরিবারের সদস্যদের।ওই যুবকের সমস্ত কুকর্ম
ফাস হয়ে যায়।মেয়ের ইঙ্গিত ও কথায় পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন এলাকারই তজিবুর রহমান তার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।এমনকি তজিবুর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই যুবতিকে বারবার চাপ দিয়ে রাখা হয়।মেয়ের পরিবার ঘটনার বিবরণ জানতে পেরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযুক্ত তজিবুর রহমান সহ তার স্ত্রী ও বৌদির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগের নয়দিন পার হয়ে গেলেও এখনো অধরা অভিযুক্তরা।পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার।এদিকে ক্রমাগত নির্যাতিতা যুবতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পরিবারের লোকেরা প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান।তারপর হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে তাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা।মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সে।গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন
পরিবারের লোকেরা।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে,
একাধিকবার অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দেওয়া হলেও তারা বেপাত্তা।মেয়ের পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার পরেই কোয়াক ডাক্তারের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়েছে।গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত কোয়াক ডাক্তারও।পুলিশের দাবি,অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে গোটা ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত স্বামীকে বাঁচাতে নির্যাতিতার গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেন স্ত্রী আলিয়ারা বিবি,আর জায়ের সাথে মদত দিয়েছেন রফিনা বিবি।একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতির উপর এমন অমানবিক ও পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা তারা মহিলা হয়েও কিভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন।খবর চাউর হতেই শিউরে উঠছে সকলেই।ফের প্রশ্নের মুখে নারী নিরাপত্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here