একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন পুলিশ কর্মী দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল ব্যালট বক্স, আর তাতেই বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

0
259

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:– ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও কমলো না উত্তেজনা। ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য নেই কোন নিরাপত্তা, একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন পুলিশ কর্মী দিয়ে পাঠানো হচ্ছিল ব্যালট বক্স, আর তাতেই বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। প্রায় তিন ঘন্টারও বেশি গাড়ি আটকে বুথের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের ৭২ নম্বর বুথের। বিজেপির অভিযোগ, সকাল থেকেই ওই বুথে ছিল না কেন্দ্রীয় বাহিনী, দুই জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও শুধুমাত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল বুথে। কিন্তু সারাদিন ধরেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হলেও সন্ধ্যে নামতেই ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলা হয়। গাড়ির মধ্যে ছিল একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও একজন পুলিশ কর্মী সহ প্রিসাইডিং অফিসার। বিজেপির অভিযোগ, রাস্তাতেই ব্যালট বক্স লুট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্র বাহিনী বা পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত গাড়ি আটকে রাখবেন তারা। অবশেষে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, এরপর বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আশ্বস্ত করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যালট বক্সের গাড়ি। তবে এই ঘটনায় রীতিমত উত্তেজনা সৃষ্টি হয় বুথ চত্বরে। এই ঘটনায় ওই অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান শোভা সরকার বলেন, সকাল থেকেই এই বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। বিগত দিনের নির্বাচন গুলিতে এই ভাবেই ব্যালট বক্স নিয়ে যাওয়া হতো। কিন্তু এবার বিজেপি ও নির্দলরা আপত্তি জানাচ্ছে, আমি প্রশাসনকে সবটাই জানিয়েছি প্রশাসনের সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যদিকে পিসাইডিং অফিসার পীযূষ দাশের বক্তব্য, গ্রামবাসীরা তাদের সাথে কোন রকম খারাপ ব্যবহার করেননি, তাদের মূলত একটাই দাবি, নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক ব্যালট বক্স, আর সেই কারণেই তারা আর গাড়ি আটকে রাখে। তবে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিসাইডিং অফিসার। তার অভিযোগ, এই ঘটনা বারংবার জানানো সত্ত্বেও ঘন্টার পর ঘন্টা না নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা এসেছে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার কারণে বুথের সামনেই প্রায় তিন ঘন্টা আটকে থাকতে হয় তাদের।