মৃত বাউল শিল্পী জুটির পুত্র কন্যা তাদের জীবন্ত ঈশ্বরের হাত থেকে পেল পুজোর উপঢৌকন।

0
122

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ প্রায় দেড় বছর আগে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় দুই বাউল শিল্পী শুভজিৎ দাস এবং সুশীলা দাসের , উল্লেখ্য যারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী ছিলেন। প্রয়াত জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুটির এক পুত্র ও কন্যা বাবা মাকে হারিয়ে অনাথ হয়ে পড়ে আর সেই খবর সেই সময়ে বিভিন্ন মিডিয়ার শিরোনামে উঠে আসে, ঘটনাচক্রের সেই খবর দেখে আসানসোল এক মানুষরুপী ভগবান ছুটে আসেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের ফতেপুর গ্রামের ওই শিল্পী জুটির বাড়িতে এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ওই ছোট্ট ছেলে মেয়ে এবং তাদের অসহায় ঠাকুমার দিকে, কানেকশন করে যান সেই বাড়ির ইলেকট্রিক এবং যার বিল বহন করেন তিনি এবং পড়াশোনা খরচ হিসাবে মাসে হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন প্রতিমাসে, তবুও তিনি কথা দিয়েছিলেন আসবেন ঠিক পুজোর আগেই। সত্যিই তিনি এলেন এবং ছোট্ট দুই বালক বালিকাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন পুজোর কেনাকাটার জন্য বাজারে, কিনলেন তাদের পুজোর পোশাক, জুতো। তারপরও কথা দিলেন তোমরা ভালো করে পড়াশোনা কর আমি আছি তোমাদের পাশে। রামকৃষ্ণ রায়, বাড়ি তাঁর আসানসোলে, বাঁকুড়ায় ছুটে এলেন শুধুমাত্র মানবিক কারণেই। সত্যি এর জন্যই হয়তো পৃথিবী আজও সুন্দর, আজও সূর্য ওঠে অস্ত যায়,, সময় মতো বৃষ্টি আসে – বাতাস বয়,, প্রকৃতি ভরে যায় ফুলে ফলে। রামকৃষ্ণ বাবুর এই আন্তরিক প্রয়াস এবং চেষ্টা হয়তো ঢাকা পড়ে যাবে সমাজের বৃহৎ কোন কাজের জন্য কিন্তু মনে থাকবে এলাকাবাসীর , মনে থাকবে ওই দুই শিশুর, তারা ভুলতে পারবেনা তাদের ঈশ্বরকে, যাঁর ছত্র ছায়ায় আজ তারা পরম নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে পারে। মৃত বাবা মার স্মৃতি বুকে আঁকড়ে ধরেও নতুন করে বাঁচার স্বপ্নে বিভোর হতে পারে।