সামনেই বড়োপূজো, গঙ্গার ভাঙন অব‍্যাহত স‍ান‍্যালচরে, রাত জেগে পাহারায় গৃহস্থ।

0
89

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  সামনে বাঙালির বড়ো পূজো,গঙ্গার ভাঙন অব‍্যাহত।রাত জেগে পাহারায় আট থেকে আশি।রাতেই লোকাল প্রশাসন ছাড়া আর কেউ আসেনি স্বান্তনা দিতে। ঘটনা টি বঁনগা লোকসভার কল‍্যানী বিধানসভার চাকদহ থানার চাঁদুড়িয়া দুই নম্বর জিপির স‍ান‍্যালচর মালোপাড়া এলাকায়।পূজো কে ঘিরে তেমন মাথা ব‍্যাথা নেই এলাকার মানুষের।সারা জিপি ঘুরে মেরে কেটে পাঁচ থেকে ছটা পূজা হয়।তাও এবারের বিষাদের ছোয়া। ক্লাবগুলি সত্তর হাজার টাকা পাচ্ছে।এরা কোন সরকারের ছোয়া ছাড়ায় নম নম করে পূজা সারবে কারন এদের কোন স্বীকৃতি নেই বা রেজিস্ট্রিশন নেই ক্লাবের।গত সাতদিন ধরে অল্প বিস্তর ভাঙছিল গঙ্গা।গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার রাত পযর্ন্ত সাত থেকে আট কাটা ভিটে জমি গঙ্গায় তলিয়ে যায়।ভাঙার অপেক্ষায় বেশ কিছু বাড়ি।চোখের জল মুছে নিজের বাড়ি নিজেই ভাঙতে বাধ‍্য হচ্ছে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। তিনি বলেন,আমাদের পূজো বলে কিছু নেই। তা না হলে পূজোর আগে এই ভাবে ভাঙে। আমরা এখন কোথায় যাবো পরিবার নিয়ে। তাই বাধ‍্য হয়ে বাড়ি ভাঙছি কোন গাছতলায় তো আশ্রয় নিতে হবে।কোন পরীক্ষার মধ‍্যে ফেললো ভগবান তিনিই জানেন। একি কথা জানালেন কল‍্যান বিশ্বাস সহ এলাকার বাসিন্দারা।তারা জানায়, জল ছাড়ার পর জল বাড়ছে। পারে ধাক্কা খেয়ে পাঁক খেতে থাকে এরপরই ভাঙতে শুরু করে।আগে স‍ান‍্যালচর ছিল বর্ধিষ্ণুগ্রাম,তেরটা সাংসদ ছিল।পঁচিশ থেকে তিরিশ হাজার লোকের বাস ছিল।এরা কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল ছিল। নদিয়া ও হুগলী জেলার মধ‍্যে জলপথে ব‍্যবসা ব‍‍্যবসা বানিজ‍্য প্রসার ছিল। আজ সব অতিত। এখন ছয়টা সংসদ। হাজার রাখেক মানুষের বাস। গঙ্গার ভাঙনে চাষবাস ছেড়ে অন‍্য ব‍্যবসায় লিপ্ত হয়েছে।অনেকই চাকরির সুবাদে অন‍্যত্র চলে গেছে। জমি ও ভিটে মাটির মায়ায় যারা এখনো আছে। তারা রাত জেগে পাহারায় আছে এখনো।কবে ভাঙবে তাদের বাড়ি। গঙ্গা ভাঙনে কি কোন ব‍্যবস্থা সরকার নেবে না এই প্রশ্ন উঠে আসছে সান‍্যালচরে বাসিন্দাদের মুখে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here