প্রবল গরমে হাঁসফাঁস দশা জেলার মানুষের, তার মাঝেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলল স্কুল। উপস্থিতির হার হাতে গোনা, স্কুলে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক অনেকেই। জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবী।

0
35

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে। সঙ্গে দোসর চড়া রোদ। এমনিতেই হাঁসফাঁস দশা জেলার মানুষের। আর এরই মাঝে আজ সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলল স্কুল। প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার হাতেগোনা। যারা স্কুলে এসেছে তারাও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারাও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবী। কোথাও আবার স্কুলের ছুটি বৃদ্ধির দাবীও জোরালো হচ্ছে।

প্রবল দাবদাহে পুড়ছে পশ্চিমের জেলাগুলি। গতকালই বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রীর কোঠা পার করে ফেলে। সঙ্গে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারনে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। দক্ষিনবঙ্গের জন্য বৃষ্টির আশার কথা এখনো শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে স্থায়ী হতে পারে আরো কয়েকদিন। এরই মাঝে সরকারি নির্দেশিকা মেনে আজ থেকে খুলে গেল সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি। স্কুল নিয়ম মেনে খুললেও প্রবল গরমের জেরে জেলার প্রায় প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। যে সমস্ত পড়ুয়ারা এদিন স্কুলমূখী হয়েছিল তাদের কেউ কেউ এদিন অসুস্থও হয়ে পড়ে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশও অস্বস্তিকর গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে
অভিভাবক এমনকি শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবী। কোথাও আবার ছুটি বৃদ্ধির দাবীও উঠেছে।