পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভার ১২ নাম্বার ওয়ার্ডে এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর বাইপাসমোড়ে বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ ও দোকান ভেঙে দিয়েছে কাঁথি পৌরসভা। “সরকারি জায়গা জবরদখল করে রাখা যাবে না” , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন নির্দেশের পর, কাঁথি পৌরসভা এই এলাকায় বেশ কিছু দোকান ও সংস্থার শোরুমকে নয়ানজুলি জবরদখল করে, তার উপর নির্মাণের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। পৌরসভা সূত্রে প্রকাশ, ‘সি এম হিরো-কন্টাই’ নামে একটি মোটর সাইকেল বিক্রির শোরুমকে নাকি দুইবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে নয়ানজুলির উপর দখল করে নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থার বিরুদ্ধে। সেই শোরুমের সামনের অংশটি নিয়ে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি, কি বলেন ইতিমধ্যেই ওইসব বেসরকারি সংস্থাগুলিকে পৌরসভার তরফ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে সঠিক কাগজপত্র পৌরসভাতে জমা করার জন্য কিন্তু এখনো পর্যন্ত বহু সস্তা সেই নথি জমা দেননি, ইতিমধ্যেই আমরা পৌরসভার বোর্ডে ওই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, পরবর্তী ক্ষেত্রে পৌরসভার তরফ থেকে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেই বিষয়ের উপর নজর থাকবে, অন্যদিকে খড়্গপুর বাইপাস সংলগ্ন এই এলাকায় সত্য রঞ্জন গিরির দোকান ইতিমধ্যে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও এক বাসিন্দা স্বপন পালের চা পানের দোকানের একই হাল হয়েছে। আর, সি এম হিরোর একেবারে পাশেই অবস্থিত নিবেদন করণের হেলমেট দোকানও ইতিমধ্যে ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সিএম হিরোর সামনের জবর দখল এখনও অক্ষত রয়েছে। একই যাত্রায় পৃথক ফল কেন ? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এই ব্যবসায়ীরা। এই সম্বন্ধে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সত্যরঞ্জন গিরি জানান বহু বড় সংস্থা রয়েছে যারা এখনো পর্যন্ত নয়নজুলিকে ঘিরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না, শুধু নেওয়া হচ্ছে গরিবদের উপর, পুজোর আগে এইরকম পরিস্থিতিরতে কি করে আমরা ব্যবসা করব,
অন্যদিকে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী স্বপন পাল জানিয়েছেন আইন সবার উপর সমান আনা উচিত,
স্থানীয়দের অভিযোগে এক কথায় বলা যায় টাকা আছে যার, সবকিছু তার। এই নিয়ে কাঁথি পৌরসভার বিরোধী দলনেতা সুশীল দাস গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। যাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ, সেই সিএম হিরো কন্টাই কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে আমরা গিয়েছিলাম। সংস্থার হয়ে কথা বলতে আসেন, কাঁথির বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চিন্তামনি মন্ডল।