গ্রামীণ মহিলা ও পুরুষদের স্বনির্ভর করা,বাংলার গ্রামীণ পটভূমি মন্ডপে মন্ডপে ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত শিল্পী মহিষাদলের রঘুনাথ জানা।

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  গ্রামীণ মহিলা ও পুরুষদের স্বনির্ভর করা ও বাংলার গ্রামীণ পটভূমি মন্ডপে মন্ডপে ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের তাজপুরের মন্ডপ সজ্জা শিল্পী রঘুনাথ জানা। তার অধীনে এখন কাজ করে চলেছে মহিলা পুরুষ মিলে ৫০/৬০ জন। গ্রামীণ মহিলা ও পুরুষদের স্বনির্ভর করতে পেরে ভীষণ খুশি রঘুবাবু।
কোভিডের কারনে গত দুবছর সেইভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি।তবে এবছর কোভিড অনেকটা স্থিতিশীল।রাজ্য সরকারও চাইছে এবছর পুজো উৎসব মুখর হয়ে উঠুক। তাই শিল্পীরা মন্ডপ সজ্জার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
মহিষাদলের তাজপুর গ্রামের মন্ডপ শিল্পী রঘুনাথ জানা, দীর্ঘদিন ধরে আর্টের কাজ করে আসছেন। গ্রামীণ মহিলা ও পুরুষদের কাজে লাগিয়ে তাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে মন্ডপ সজ্জার কাজ করে চলেছে। জেলা জুড়ে খ্যাতিও অর্জন করেছে। তবে গত দুবছর মন খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। এবারেও চিন্তায় দিন কাটছিলো।

কিন্তু রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দেওয়ায় পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছে।জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তাদের তৈরি মন্ডপ দর্শনার্থীদের আনন্দ দেবে।এবছ তারা, থিম তৈরি করেছে “মাটির ঘরে মা”। একেবারে গ্রামীণ পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। মাটির নানা ধরনের জিনিস দিয়ে মন্ডপ গড়ে উঠবে। ফোক আর্ট কালচার ফুটে উঠবে মন্ডপ সজ্জায়, বর্ধমানে কাটোয়ার কাঠের পুতুল, পশ্চিম মেদিনীপুরের আদিবাসী সমাজকেও মন্ডপে ফুটিয়ে তোলার হচ্ছে। এবছর তার মোট চারটি মন্ডপে তাদের কারু কার্য ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত। মন্ডপ শিল্পী রঘুনাথ জানা জানান, গ্রামীণ এলাকার কাকিমা, পিসিমা, দিদি বৌদিদের শিখিয়ে তাদের নিয়ে কাজ করে চলেছি। তারাই আমার কাছে অনুপ্রেরণা। তাদের নিয়ে সারা বছর আর্টের কাজ করতে চাই। রাজ্য সরকারও মহিলাদের স্বনির্ভর করার চেস্টা করছেন। আমিও আমার সাধ্যমতো তাদের স্বনির্ভর করার চেস্টা করছি। শুধু পুজোর কয়েকটা দিন নয় সারা বছর যাতে গ্রামীণ এলাকার মহিলা পুরুষ কাজ করতে পারে তার লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।
সংসারের কাজ সেরে হাতে কাজ শিখে মন্ডপ সজ্জার কাজে সাহায্য করতে পেরে এবং কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পেরে ভীষণ খুশি অর্জনা রায়, পুতুল হাইতের মতো মহিলারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *