বাজার নেই,তাই বিভিন্ন ধরনের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নিতে হচ্ছে বাঁশ শিল্পীদের।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ – শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগডিয়া গ্রামে বাস ২৫ থেকে ৩০ টি মাহালি পরিবারের। যাদের পূর্বপুরুষ থেকে জীবিকা চলে আসছে বাঁশের সরঞ্জাম বানানো। বাঁশের থালা, বাঁশের গ্লাস, বাঁশের মুকুট, বাঁশের পদ্ম ফুল, বাঁশের হাড়ি ছাড়াও বাঁশ দিয়ে ঘর সাজাবার দ্রব্য। গ্রামের বাঁশ বাগান থেকে বাস তুলে এনে বাঁশের কাজ করে সেই সরঞ্জাম অত্যন্ত স্বল্পদামে বিক্রি করে তারা জীবন ধারণ করে থাকতেন। বর্তমানে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বিক্রি নেই এইসব বাঁশের দ্রব্যের। বাজার মূল্য যেখানে কুড়ি থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে সেখানে লভ্যাংশ অনেকটাই কম। ফলেই বিভিন্ন রকমের বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজে নিতে হচ্ছে বাঁশের শিল্পীদের। তবুও কিছু কিছু পরিবার এখনও লেগে রয়েছেন এই শিল্পের সঙ্গেই। বাগডিয়া গ্রাম এতটাই প্রত্যন্ত যে সব পরিবারের এখনও বিদ্যুৎ পর্যন্ত পৌঁছায়নি।

গ্রামের প্রবীণশিল্পী শম্ভু মাহালী জানান “আগেই অল্প সল্প বিক্রি বাটরা হত। আমরা সব রকমই বাঁশের দ্রব্য বানাই। তবে বর্তমানে অবস্থা খুবই খারাপ। বিকল্প বলতে মাঠে-ঘাটে কাজ করা ছাড়া আর উপায় নেই। দিনমজুরি করে সংসার চালাতে হচ্ছে।” শম্ভু মাহালীর এই কথায় স্পষ্ট যে কতটা বিলুপ্তপ্রায় হতে চলেছে এই শিল্প। মাঝেমধ্যেই নাকি বাঁশের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং সরকারের সক্রিয়তা দেখা যায় এমনটাই বলছেন শিল্পীরা। তবে এই ডুবতে থাকা শিল্পের কতটা পুনরুদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *