মালদহের চাঁচল ২নং ব্লকের জালাল পুর গ্রামীন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—- চাঁচলে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে শিক্ষক তথা  তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অধরা মূল অভিযুক্তরা। পুলিশ এই ঘটনায় নিষ্ক্রিয়, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে পুলিশ ক্যাম্পে চড়াও ও গ্রামীন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী। মঙ্গলবার ঘটনা কে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচল ২নং ব্লকের জালাল পুর গ্রামে। এই দিন প্রথমে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা জালাল পুর গ্রামের পুলিশ ক্যাম্পে চড়াও হন, পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল পাটকেল ছোড়ার পর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জড়িয়ে পড়েন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। নিমেষের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেই  মালদহের চাঁচল ২ নং ব্লকের জালালপুর পুলিশ ক্যাম্প। শুরু হয় পুলিশ ও বিক্ষুদ্ধ জনতার খন্ড যুদ্ধ। এরপর পুলিশ ক্যাম্প থেকে ১০০ মিটার দূরত্বে গ্রামীণ সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে সামিল হন গ্রামবাসী সহ মৃতের পরিবার। সড়কের মূল প্রবেশ পথে বেঞ্চ পেতে ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তপ্ত জনতা। শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতা খুনে তদন্তে গড়িমসি ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, নামানো হয় রাফ। মৃতের পরিবার সহ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিক্ষক তথা তৃণমূল কর্মী শহীদুর রহমানের খুনের ঘটনায় এক সপ্তাহ পেরিয়েছে, কিন্তু পুলিশ এখনও ঘটনার সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ। পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে এখনোও গ্রেপ্তার করেনি। যে সকল কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তারা মূল অভিযুক্ত নয়। পুলিশ মূল অভিযুক্তদের আশ্রয় দিচ্ছে, তদন্তে গরিমশি করছে। তাই আমরা সকল গ্রামবাসীরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। আমরা চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক এবং মূল দোষীদের গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা ঘোষনা করা হোক।

       এই দিনের এই পথ অবরোধে মৃতের পরিবার গ্রামবাসী ছাড়াও সামিল হন মৃত শহিদুর রহমানের স্কুলের পড়ুয়ারা। কারণ,আজ শিক্ষক দিবস।বিভিন্ন জায়গায় ছাত্ররা শিক্ষকদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন।কিন্তু তাদের শিক্ষক তো কিছুদিন আগেই খুন হয়ে গেছেন।তাই আজকের দিনে শিক্ষকের সকল খুনিদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের। তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় অধরা মুল অভিযুক্তরা, পুলিশি গড়িমসির অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *