শতাধিক বছরের ইংরেজ আমলে রেস্টরুম বা সাহেব কুঠি অযত্নে অবহেলায় ভূত বাংলো তে পরিনত হয়েছে।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শতাধিক বছরের ইংরেজ আমলে রেস্টরুম বা সাহেব কুঠি অযত্নে অবহেলায় ভূত বাংলো তে পরিনত হয়েছে।এক সময় চাঁদুড়ে বর্তমানে চাঁদুড়িয়া গ্রামের বলিদা পাড়া পাশ দিয়ে গঙ্গা বইতো।বেশীর ভাগ মানুষই জলপথ ব‍্যবহার করতো।বড়ো বড়ো জাহাজ যাতায়াত করতো।চলতো ব‍্যবসা বানিজ‍্য।সেই সময় ইংরেজরা নিজেদের ব‍্যবসা বানিজ‍্যের সুবিধার্থে বলিদাপাড়ায় গঙ্গার কূলে সাহেব কুঠি বা গেস্ট হাউস বানিয়েছিল। বেলজিয়ামের পাথরে ইঁট দিয়ে তৈরী হয়েছিল রাস্তা। তখন যানবাহন বলতে গরুর গাড়ি।ব‍ানিজ‍্য থেকে আসা যাওয়া করার সময় এই জল পথে এসে জাহাজ নোঙর করে এই বাংলো তে রেস্ট নিতো।বিট্রিশ রা চলে যাবার পর কলকাতা পোর্ট স্ট্রাটের হাতে আসে এই সাহেব কুঠি। বছর কয়েক ভালো ছিল। পোর্টের অফিসার আসতো পিকনিক করতো। এলাকার মানুষ ও প্রায় দিন সাহেব কুঠিতে ঘুরতে আসতো।এখন সব অতিত। বেলজিয়াম ইঁটের বদলে চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির পক্ষ থেকে ভালো রাস্তা করে দিয়েছে। গঙ্গা কয়েক কিমি দূরে সরে গেছে। বহু পুরানো শ্মশানের উন্নতি হয়েছে।উন্নতি হয়েছে বলিদাপাড়া এলাকায়। উন্নতি হয়নি বলিদা পাড়ার এই সাহেব বাংলো।পাঁচিল ভেঙে গিয়ে বেআব্রু হয়ে পড়েছে।নামে মাত্র গেট তা আগাছায় ভরে রয়েছে। শতাধিক বছরের পুরানো চাঁপা গাছ,আম গাছ,সহ অন‍্যান‍্য গাছ দাঁড়িয়ে আছে শেষ নিশ্বাস ফেলার অপেক্ষায়।আলো নেই,ইংরেজ আমলে তৈরী সাহেব কুঠি ভূত বাংলোতে পরিনত হয়েছে।ঘর ভেঙে পরেছে, তার কঙ্কাল সার দেহ টা যে কোন দিন দেহ রাখবে। অথচ নিজেরা রক্ষণাবেক্ষণ করবে না কাউকে করতে দেবেনা।দুটো গার্ড আছে।সন্ধ‍্যার পর ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকতে হয় বাদুড়ের ডাক ও শেয়ালের ডাক। এলাকার পুরানো বাসিন্দা এবং পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সংগ্রাম গুহঠাকুরতা বলেন,শতাধিক পুরানো এই সাহেব কুঠি অযত্নে পরে রয়েছে। কোন রক্ষনাবেক্ষন করে না।ভারত সরকারের জমি। এলাকার উন্নয়নের জন‍্য জমি টা দিত আমরা বিদ‍্যুৎ দপ্তরের সাব স্টেশন করতাম। জায়গার অভাবে আমরা করতে পারছি না বা পিকনিক স্পট বা পার্ক করে দিত এলাকার উন্নতি হতো। আশি বছরে বৃদ্ধ মজিদ ভাঙ্গী জানান,আমার জন্মের পর থেকে যা দেখেছি, এখন দেখলে কষ্ট হয়। তবে যাই হোক এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী এই ভাবে বাংলো ফেলে না রেখে সমাজের কাজের জন‍্য এই জমি বাংলো তুলে দিতো ভারত সরকার। তাহলে বিদ‍্যুৎ দপ্তরে সাব স্টেশন বা পিকনিক স্পট তৈরী হয়ে মানুষের আয়ের পথ খুলে যেত। প্রশ্ন একটায় বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *