দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- তাঁর নীল ধ্রুবতারা বা রানার এখনও নতুন সুরকারদের আলোকবর্তিকা। বাংলা তথা ভারতের সঙ্গীতজগতে তিনি সার্থকনামা সুরসলিল। এই যুগন্ধর স্রষ্টার জন্ম শতবর্ষে নাট্যানুষ্ঠান ও সলিল সমারোহ আয়োজিত হল ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় দুবরাজপুরে। ভারতীয় সংগীত জগতের বিস্ময় পুরুষ, স্রষ্টা ও জীবন শিল্পী সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের দুবরাজপুর ভিক্টর জারা শাখার উদ্যোগে সলিল সমারোহ ও নাট্যানুষ্ঠানের সূচনা হলো বীরভূম জেলার দুবরাজপুর নেপাল মজুমদার ভবনে। চলবে ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত। ভিক্টর জারা শাখার সম্পাদক তথা অনুষ্ঠানের সভাপতি উজ্জ্বল মিশ্রের সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় গণনাট্য সংঘের রাজ্য সম্পাদক দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত, রাজ্য কমিটির সদস্য সন্তোষ কর্মকার, জেলা কমিটির সদস্য টুটুল দাস, শীতল বাউরী, রামদাস প্রমুখ। উল্লেখ্য ভারতীয় গণনাট্য সংঘের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৫ শে মে। তাই গত বছর ২৫ শে মে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কৃতী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্যকার উৎপল দত্ত রচিত নাটক “টিনের তলোয়ার” পরিবেশিত হয়। নাটকটির সম্পাদনা ও নির্দেশনায় ছিলেন সুজিত ঠাকুর। নাটকটি মঞ্চস্থ করে ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সিউড়ি’র রুদ্রবীণা সংস্থা। দর্শকদের ঘন ঘন করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে নেপাল মজুমদার ভবন। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের বীরভূম জেলার সদস্য তথা দুবরাজপুর ভিক্টর জারা শাখার অন্যতম কর্ণধার শীতল বাউরী বলেন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সলিল চৌধুরীর জন্ম-শতবর্ষে সলিল সমারোহ পালিত হচ্ছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে।আমরাও দুবরাজপুর ভিক্টর জারা শাখার পক্ষ থেকে নাটকের পাশাপাশি এই কালজয়ী শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।
সলিল চৌধুরীর জন্ম শতবর্ষে সলিল সমারোহ ও নাট্যানুষ্ঠান।

Leave a Reply