পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:–পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অন্যতম হল রথযাত্রা উৎসব। আর কিছু সময় পরে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে টানা হতে চলেছে মহিষাদলের রথ। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, সেই সঙ্গে চলছে হলকা বৃষ্টি। কিন্তু সব উপেক্ষা করে ইতিমধ্যেই দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত দের সমাগম হতে সুরু করেছে। বেলা যত গড়াবে মনুষের ভীড় আরো বাড়বে।
২৫০ বছরের এই সুপ্রাচীন এই মহিষাদলের রথযাত্রার অন্যতম আকর্ষণ হলো গোপালজিউ (Gopal ji) কে রথে চড়িয়ে নেওয়া—কারণ তিনিই রাজপরিবারের কুলদেবতা।
বিংশ শতাব্দীর ঐতিহাসিক ঐতিহ্য অনুযায়ী, রথে শুধুমাত্র জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রা নয়, বরং গোপালজিউকেও মূল মূর্তির মতো সম্মানে নিয়ে যাওয়া হয় । রথে চড়িয়ে মহিষাদল রথতলা থেকে জগন্নাথ দেবের মাসী বাড়ি মহিষাদল গুন্ডিচাবাতি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। রথযাত্রার দিন সকাল থেকে মহিষাদল রাজবাড়ির কুল দেবতা গোপাল জিউর মন্দির থেকে গোপাল জিউ কে রথ অব্দি আনা হয় এবং রথে অধিষ্ঠিত করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই নিয়ম ও রীতি মেনে যথা সময়ে রথের রস্যিতে টান দিয়ে রথ যাত্রার শুভ সূচনা সূচিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
মহিষাদলের এই রথযাত্রার ইতিহাস দুই শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন। তবে বর্তমানে সেই উৎসবের জৌলুস আগের থেকে অনেকটা কম। রথকে কেন্দ্র করে জনসমাগমও আগের তুলনায় কমে গেছে। তবুও এই রথযাত্রা নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাদা একটা আবেগ ও উন্মাদনা রয়েছে। তাই, প্রাচীনত্ব আর ঐতিহ্যের বিচারে বিশেষ মর্যাদার দাবি রাখে মহিষাদলের রথ ও রথযাত্রা উৎসব।
Leave a Reply