পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের তিন শিশু যোগাসনে রীতিমতো নজর কেড়েছে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে আয়োজিত জাতীয় কম্পিটিশনে কোলাঘাটের লোটাস যোগা একাডেমীর তিন খুদে রীতিমতোই নজর কেড়েছে। কোলাঘাটের কুখাবাড় গ্রামের ১০-১২ বছরের বালক বিভাগে রাজদীপ পোড়িয়া প্রথম হয়েছে । পাশাপাশি রাইন গ্রামের ৫-৭ বছরের বালক বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে দেবজিৎ বেরা এবং ১০-১২ বছর বালিকা বিভাগে দ্বিতীয় হয়েছে পারমিতা দাস। এই তিনজন কৃতি ইন্টারন্যাশনাল যোগা প্রতিযোগিতায় মালেয়েশিয়ায় অংশগ্রহণ করার ছাড়পত্র পেয়েছে। এই তিন খুদের রয়েছে আত্মবিশ্বাস চরমে।তাদের একটাই আশা এই আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং পদক জয় করে দেশের নাম উজ্জ্বল করার। তবে এই তিন খুদের আশায় অনেকটাই বাধসেজেছে তাদের পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা। এই তিন খুদের পরিবারই অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। দেবজিৎ বেরা এবং রাজদীপ পোড়িয়ার পরিবার মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধারদেনা করে পাসপোর্ট ও যাতায়াতের খরচ জোগাড় করেছেন। তবে সব আশায় জল ঢেলেছে রাইন গ্রামের দশ বছরের যোগা প্রতিযোগীনি পারমিতা দাসের। কারণ তার পরিবার অত্যন্ত দারিদ্রতার মধ্যে চলে। বাবা ফুচকা বিক্রি করে কোনরকম সংসার যাপন করেন। পারমিতার মা অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।তার মায়ের চিকিৎসা চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তার বাবা চন্দ্র মাধব দাসের। কোলাঘাটের লোটাস যোগা একাডেমির কোচ সায়রা বানুও বিভিন্ন জায়গায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার ওই ছাত্রীর জন্য। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যে খরচ তা জোগাড় করা পারমিতা বাবার কাছে তা সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাই একপ্রকার মালয়েশিয়া যাওয়ার আশা দেখছে না পারমিতা ও তার পরিবার। তাই পারমিতার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছে, যদি কোন ক্রীড়া প্রেমী মানুষজন তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে মালয়েশিয়ায় গিয়ে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের নাম উজ্জ্বল করার। আগামী ৭ ই সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় হচ্ছে আন্তর্জাতিক যোগা প্রতিযোগিতার আসর। দিন যত এগিয়ে আসছে ততটাই হতাশায় দিন কাটাচ্ছে পারমিতা। তবে যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি এগিয়ে আসে তাহলে হয়তো পারমিতার মুখে হাসি ফুটতে পারে। কে বলতে পারে পারমিতা দেশের হয়ে যোগায় লড়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে।
কোলাঘাটের তিন শিশু যোগাসনে নজর কেড়েছে জেলা বাসির,আন্তর্জাতি স্তরে সুযোগ পেয়েও আর্থিক সংকটে ভুগছে পরিবার।

Leave a Reply