প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত রঘুদেববাটি পাত্র পরিবার এক সম্ভ্রান্ত পরিবার। এক ডাকে চেনেন এলাকার মানুষ এই পাত্র পরিবারের ব্যক্তিগণেদের। পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর শুভেন্দু বাবু। তার ছেলে সৌরভ পাত্রের বিয়ে হয়েছে গত ২০ মার্চ ধুমধাম করে। ২৩শে মার্চ বৌভাত হবে। বৌভাত এর আগের দিন অর্থাৎ ২২শে মার্চ তিনি অভিনবত্বের কাজ করলেন যা কিনা মানবকল্যাণ হেতু হিসেবে পরিচিত। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে সবাই বিভিন্ন ভাবে আনন্দ উপভোগ করেন। সেই আনন্দ যাতে গরীব দুস্থ মানুষ ও ভাগ বসাতে পারেন তার জন্য তাদের হাতে শীত বস্ত্র কম্বল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন ছেলে ও নববধুর মাধ্যমে। ছেলে সৌরভ পাত্র এবং নববধূ মঞ্জুশ্রী পাত্র দুস্থ মহিলার হাতে কম্বল তুলে দিতে পেরে আপ্লুত। স্বর্গীয় ভবেশ পাত্র ছিলেন সমাজ সেবক ব্যক্তি, পার্শ্ববর্তী রঘুদেববাটি স্কুল উন্নয়নে কান্ডারী হিসেবে যার নাম সর্ব আগে আসেন সেই স্বর্গীয় ভবেশ পাত্র এই পাত্র পরিবারের উত্তরসূরী। পাত্র পরিবার এলাকার দুস্থ মানুষ এবং গ্রামবাসীর আপদে-বিপদে পাশে থাকার ব্যাপারে সর্বদাই সচেষ্ট। করোণা চলাকালীন নিভূতে বেশ কয়েকশো দুঃস্থ মানুষদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন এমনই জানা যায়। এছাড়া প্রতি বছরই দরিদ্র সেবায় কিছু না কিছু ব্যবস্থা পাত্র পরিবার করেই থাকেন। তাই বিয়ে বাড়ি অনুষ্ঠানে এমন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সেবাই পরম ধর্ম এই আপ্তবাক্য টিকে বাস্তবে রূপায়িত করে। দুস্থ অসহায় ব্যক্তির আশীর্বাদ নিয়ে পুত্র ও পুত্রবধু সংসার সুন্দর এবং সুমধুর ও দীর্ঘস্থায়ী হয় এমনই আশাই ভবেশ বাবুর এই অভিনব চিন্তা ভাবনা। কম্বল বিতরণ এর পর ভক্তিমূলক সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন এই পাত্র পরিবার । আদ্যোপান্ত এটা কালচার পরিবার হিসেবে পরিচিত এই পাত্র পরিবার। বিয়েবাড়ী এই অভিনবত্ব চিন্তাভাবনায় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
নবদম্পতিকে দুস্থ মানুষের আশীর্বাদাত্তে কম্বল বিতরণের মাধ্যমে সেবাই পরম ধর্ম কে মান্যতা দিলেন রঘুদেববাটি পাত্র পরিবার।

Leave a Reply