একরাতের বৃষ্টিতে জলমগ্ন কোচবিহার শহর, চরম ভোগান্তিতে জেলা বাসী।

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ গতকাল রাত থেকে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন কোচবিহার শহরের একাধিক এলাকা। শহরের স্টেশনমোর এলাকা থেকে সুনীতি রোড, রাজবাড়ী সামনে থাকা কেশব রোড সহ বেশ কিছু রাস্তার উপর দিয়ে জলের স্রোত বইতে শুরু করে। বহু এলাকায় বাসিন্দাদের বাড়িতে জল ঢুকে চরম দুর্ভোগের সৃস্টি করে। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। এছাড়াও, আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমেছে। কোথাও কোথাও বাড়িতেও জল ঢুকেছে। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগে কোচবিহার শহরের বাসিন্দারা।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ২৩১.৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কোচবিহার সদরে। এই প্রবল বৃষ্টির জেরেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল দাঁড়িয়ে পেরেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন দিনভর দু এক পশলা বৃষ্টি হলেও তেমন প্রবল বৃষ্টি হয় নি। তাই বেলার দিকে সব এলাকা থেকেই জল নামতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। জমা জলে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসীকে। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকেছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসী। প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমলেও, খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাচ্ছে বলে মত কোচবিহার পুরসভার।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্য়ে বৃষ্টির জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদী। গত রাতের প্রবল বৃষ্টির জেরে কোচবিহার শহর লাগোয়া তোর্সা নদীতেও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও নদীর কোন অংশে এদিন বিকেল পর্যন্ত সতর্কতা জারি করা হয় নি বলে প্রশাসন সুত্রে খবর। ইতিমধ্যেই তাই, লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
অপরদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে বেড়েছে নদীর জলস্তর সিকিম ও ভুটান পাহাড়েও অবিরাম বৃষ্টির জের। তিস্তায় গতকয়েকদিনে বারবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে নদীর জলস্তর। তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় শহরাঞ্চলে দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। একইভাবে ভুটান পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে ডুয়ার্সের জলঢাকা নদীতে জলস্তর বাড়ায় গত সপ্তাহেই সংরক্ষিত ও অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর। অন্যদিকে, জল বাড়ায় গতকাল তিস্তা পাড়ে বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা যায়। দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *