একুশ আমার একুশ : রাজেশ কান্তি দাশ।

কিছু লালপাখি উড়ছে দূর আকাশে সাইবেরিয়ান ডানায়
তাদের প্রাণ ও শক্তি থেকে বেরুচ্ছে ভাষার রক্তচোখ ধূসর নীলিমায়!
একমুখী ভেজারোদে তারা যাবে পঞ্চাশটি বর্ণমালার কাছে;
বিস্তৃত বিশ্বদিগন্তে নিপাট ছড়িয়ে আছে যারা
রক্তাভ পলাশ আর টকটকে শিমুলের চিঠি প্রাগৌতিহাসিক হয়নি এখনো
বৃষ্টির মতো ঝরছে চিঠির চন্দ্রকলা থেকে ষোলোআনা শশী
অম্বরের কেন্দ্র থেকে প্রান্তে;
বিরামহীন মা-মৃত্তিকার ঘ্রাণ বেরুচ্ছে অ, আ, ক, খ’র বর্ণরাগে;
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার… বায়ান্নর যীশু, শুয়ে আছে দূরতম নক্ষত্রের দেশে!
প্রতিরোধে কৃষ্টির বিপ্রতীপ বিন্দু।
অস্তিত্বের দুইশত ছয়টি মাঙ্গলিক দীপ,
আমার বুকের পাঁজর, মানস, মনন জড়িয়ে আছে কৃষ্টির গায়ে!
আমার হৃদয়নদী জ্বলবে মরুভূম, পাহাড়, সাগর, আকাশের সীমানা পেরিয়ে
অই দূরতম নক্ষত্রের দেশে
আলোকিত করবে ধূসর নীলিমা, ভেজারোদ হবে রৌদ্রপ্রবণ!
দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান সমস্ত নীরবতা ভাঙবে একটি ফেব্রুয়ারির ভোর,
একুশ আমার একুশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *