শুশুনিয়া পাহাড়ের গোপন ডেরায় বিপ্লবীদের সাপ্তাহিক বৈঠকে খাবার জোগান দিতেন পার্বতী দেবী চলে গেলেন।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ বৃহস্পতিবারের সূর্য যখন মধ্য গগনে তখনই বাঁকুড়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পথিকৃৎ মানিক চন্দ্র রায়ের স্ত্রী পার্বতী রায়ের জীবনাবসান ঘটল 91 বছর বয়সে। তাদের চাঁদড়ার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামীর। শুশুনিয়া পাহাড়ের গোপন ডেরায় বিপ্লবীদের সাপ্তাহিক বৈঠকে নিয়মিত খাবার জোগান দিতেন মানিকবাবুর স্ত্রী পার্বতী দেবী। এই বাড়ির কমল কৃষ্ণ রায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল চন্দ্র সেনের মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী। নকশালদের বোমার আঘাতে প্রাণ হারান তাম্রলিপ্ত পুরস্কারপ্রাপ্ত বিপ্লবী মানিক চন্দ্র রায়। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর থেকে পেয়েছিলেন বিশেষ স্মারক এবং নিয়মিত পেতেন সরকার অনুমোদিত স্বাধীনতা সংগ্রামীর পেনশন। প্রতিবছর 15 আগস্ট এলেই পার্বতী দেবী পাড়ার মেয়ে বৌ দের শোনাতেন স্বামী সহ অন্যান্য বিপ্লবীদের গোপন বৈঠকের কথা ও জেলের নির্মম কাহিনী। তাই পার্বতী দেবীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী। চোখের জলে বন্দেমাতারাম ধ্বনিতে শেষ বিদায় জানালেন স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ সাক্ষ্য বহন কারী পার্বতী রায়কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *