বিয়ের পাঁচ মাস পর কলেজ যাওয়ার পথে উধাও গৃহবধূ, “ভালো আছি” নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর বার্তা গৃহবধূর,মেসেজ নিয়ে পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গৃহবধুর পরিবার।

0
392

নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- চলতি মাসের ৩ তারিখ কলেজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর পঁচিশের অর্চনা ভঞ্জ। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি ওই গৃহবধূ। নানান জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর হদিস না পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা প্রথমে যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানায় এরপর দ্বারস্থ হয় খড়্গপুর লোকাল থানার। পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে খড়্গপুর লোকাল থানাতে। পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত হদিস মেলেনি এ গৃহবধূর। এরই মাঝে ৪ তারিখ বিকেলে গৃহবধূর মায়ের মোবাইলে আসে এক মেসেজ। মেয়ে অর্চনার নাম্বার থেকে আসা ওই মেসেজে লেখা রয়েছে “আমি বাইরে চলে এসেছি, যেখানেই আছি ভালো আছি, যার সঙ্গে ভালো থাকতে পারব তার কাছে আছি”। মোবাইলের মেসেজ দেখে দুশ্চিন্তা ক্রমেই বাড়ছে পরিবারের। সেই মেসেজ নিয়েই তিন দিন ধরে কখনো খড়্গপুর লোকাল থানার কখনও সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হচ্ছে পরিবার। পরিবারের সদস্যদের একটাই দাবি, কোথায় আছে তাঁদের মেয়ে, হদিশ দিক পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত গৃহবধূ নিখোঁজ রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পাঁচ মাস আগেই খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত চক গোবিন্দপুরে তাপস সুর নামে এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে হয় অর্চনার। পার্শ্ববর্তী এলাকা কাঁয়তা গ্রামে বাপের বাড়ি হওয়ায় বাপের বাড়িতে অহরহ যাতায়াত ছিল অর্চনার। ডেবরা কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অর্চনা বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল শ্বশুরবাড়িতে। পুত্রবধূর ইচ্ছে ফেরাতে পারিনি অর্চনার শ্বশুর অশ্বিনী সুর। মিলেছিল কলেজে পড়ার অনুমতি। পেশায় কাপড়ের ব্যবসায়ী তাপসের সাথে একরকম সুখেই ঘর করছিল অর্চনা। পরিবারের দাবি ছিল না কোনো দাম্পত্য কলহও। “তবে কি অন্যের প্রলোভনে পা দিল মেয়ে?”, এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে নিখোঁজ গৃহবধূর বাবা শঙ্কর ভঞ্জের মাথায়। নিখোঁজ গৃহবধূর বাপেরবাড়ি-শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা এখন হন্যে হয়ে খোঁজ চালাচ্ছে তাঁদের বাড়ির মেয়ের। পরিচিতদের প্রত্যেকের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে অর্চনার নিখোঁজ বার্তা। “যদি কেউ মেয়ের হদিশ পেতে পারে! এই ভাবনা থেকেই সমাজমাধ্যমে মেয়ের ছবি পাঠানো হয়েছে সর্বত্র”, জানাচ্ছেন নিখোঁজ গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। গৃহবধূ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে কি ‘পরকীয়া’! খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে। কতদিনে বাড়ির মেয়ে বাড়ি ফিরবে! আদৌও ফিরবে কি! লাখ টাকার প্রশ্ন পরিবারের সদস্যদের কাছে।