কলাকল্পের ভিন্ন স্বাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

0
548

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – করোনা আর লকডাউনের আবহে দুবছর স্কুল কলেজ বন্ধ। স্কুল কলেজে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও বন্ধ ছিল। বর্তমানে সরকারী নির্দেশে স্কুল কলেজের পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। পঠন পাঠন শুরু হলেও স্কুল কলেজের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়নি।আর সেই কারণে শারীরিক বিকাশ কিংবা মানসিক ভাবে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বিষাদে মন ভারাক্রান্ত্র হতে বসেছিল।বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এমন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। সেই সমস্ত স্কুল কলেজের শিশু কিশোরদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এগিয়ে আসে ক্যানিংয়ের কলাকল্প ক্লাব।শিশু মন বিকাশের জন্য বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ইচ্ছা থাকলেও করোন সংক্রমণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়।অবশেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই ক্যানিংয়ের কলাকল্প ক্লাবের উদ্যোগে গান্ধীকলোনী প্রাইমারী স্কুল মাঠে দুই দিনের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয় বুধবার।২৭ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিধায়ক পরেশরাম দাস,মাতলা ২ পঞ্চায়েত প্রধান উত্তম দাস।
খেলায় ১০০,৫০ মিটার দৌড়,অঙ্ক দৌড়,বিস্কুট দৌড়,চামচ গুলি,নৈশ ফুটবল,স্লো সাইকেল,অঙ্কন,সাঁতার,রুপসজ্জা,পুকুরে হাঁস ধরা সহ বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিয়োগিতা অনুষ্ঠিত হয়।বিশেষ করে পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা সকলের নজর কাড়ে।দুই দিনের প্রতিযোগীতায় ভিন জেলা সহ এলাকার প্রায় দুশো প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করে।
প্রতিযোগীতা শেষে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন কলাকল্প ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ক্লাবের সম্পাদক শম্ভু সাহা জানিয়েছেন ‘দীর্ঘ প্রায় দুবছর প্রায় সমস্ত কিছুই বন্ধ।সাধারণ ভাবেই শিশু মনের বিকাশ থমকে গিয়েছিল।করোনার শিথীলতা হতেই শিশুদের মনে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ নিয়েই বিগত অন্যান্য বছরের ন্যায় এই শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল। ’
ক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক বিশ্বনাথ সাহা জানিয়েছেন ‘করোনার বিধি শিথিল হতেই আমরা শিশু মন বিকাশের জন্য ক্লাবের তরফে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার উদ্যোগ নিই।যাতে করে আমাদের আগামী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বিকাশ ঘটে।’