কোচবিহার, ৪ ফেব্রুয়ারিঃ দুমাসের বকেয়া পেনশন এবং গ্র্যাচুয়িটির টাকা মেটানোর দাবিতে পুরসভা ভবনে গিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মীরা। আজ কোচবিহার পুরসভায় ওই অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মচারীরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে বলে জানা গিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। কোচবিহার পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও এখনও পর্যন্ত বোর্ড গঠন করা হয় নি। এরই মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মীদের ওই আন্দোলনের জেরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, দ্রুত রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলে তাঁদের বকেয়া পেনশন না মেটানো হলে তাঁরা ওই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন।
এদিন অবস্থান আন্দোলনে বসে যষোধা রঞ্জন সরকার নামে এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বলেন, “আমরা বয়সে প্রবীণ। আমাদের প্রত্যেক মাসে অনেক টাকার ওষুধ কিনতে হয়। পেনশন না মেলায় ওষুধ কিনতে পারছি না। চালডাল কিনতে পারছি না। ফলে দুবেলা ঠিক মত খাওয়া হচ্ছে না। এত বছর পুরসভায় কাজ করে মানুষকে পরিষেবা দিয়ে এখন আমাদের এই করুন অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।” রবীন্দ্রনাথ ইশোর নামে আরও এক অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মচারী বলেন, “এরাজ্যে ১০৮ টি পুরসভা রয়েছে। কোথায় পেনশন বা গ্র্যাচুয়িটি নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। শুধুমাত্র কোচবিহার পুরসভাতেই মাঝে মধ্যেই বকেয়া পড়ে যাচ্ছে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই সমস্যা না মেটা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
জানা গিয়েছে, কোচবিহার পুরসভায় গ্র্যাচুয়িটির টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সমস্যা চলছে। এবছর জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের পেনশন বকেয়া পড়ে গিয়েছে। জানুয়ারি মাসের পেনশন বকেয়া পড়ার পর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা কোচবিহার সদর মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করে পেনশন না পেলে তাঁদের কি সমস্যায় পড়তে হয়, সে কথাও জানিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। তখন জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পেনশন দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মচারীরা। কিন্তু সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন তো দূরের কথা এমাসের পেনশনও এখনও মেলে নি তাঁদের অভিযোগ। এই অবস্থায় নতুন পুরবোর্ড গঠনের পরেই ওই টাকা মেটাতে গিয়ে নয়া চেয়ারম্যানকে কে যে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা বলা যেতেই পারে।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা ভোট মিটতেই কোচবিহার পুরসভায় বকেয়া পেনশনের দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা।