সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – টান টান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চিকিৎসক এর তৎপরতায় কয়েক মিনিটের চেষ্টায় এক বছর তিন বয়সের শিশুর নাকের ছিদ্র থেকে বেরিয়ে এল পিস্তলের গুলি।ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে ক্যানিং থানার আমড়াবেড়িয়া গ্রামে।তবে এটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত বেতবেড়িয়ার বাসিন্দা হোসেন লস্কর। তিনি ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আমড়াবেড়িয়া দাসপাড়ার মঞ্জিলা কে বিয়ে করেছিলেন। মেহেতাব লস্কর নামে দম্পতির তিন বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।গত চারদিন আগে ক্যানিংয়ের মামার বাড়িতে এসেছিল সে।রবিবার সন্ধ্যা থেকে প্লাস্টিকের রিভলবার নিয়ে খেলছিল। সাথে সাথে প্লাস্টিকের গুলিও ছুড়ছিল সে। আচমকা একটি গুলি তার নাকের ছিদ্রের মধ্যে ঢুকে গিয়ে আটকে যায়।চিৎকার করে কান্নাকাটি শুরু করে।বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পরিবারের লোকজন কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না।শিশুটির শ্বাস নিতে ও কষ্ট হচ্ছিল। এমত অবস্থায় পরিবারের লোকজন শিশুটি কে নিয়ে দ্রুততার সাথে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে যায় চিকিৎসার জন্য। সেখানে নাক-কান-গলা বিশেষঞ্জ চিকিৎসক অভিষেক বিশ্বাস এর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়।মিনিট কয়েকের চেষ্টায় শিশুর নাক থেকে প্লাস্টিকের খেলনা রিভলবারের গুলি বের করতে সক্ষম হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের বিশেষঞ্জ চিকিৎসক।
অপারেশন থিয়েটর থেকে শিশুকে বেরিয়ে আসতে দেখে হাসি ফোটে পরিবারের সদস্যদের।
শিশুর মামা লতিফ মন্ডল জানিয়েছিলাম “কি হয় সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উবে গিয়েছিল। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার বাবুর তৎপরতায় আমার ভাগ্নার নাকের মধ্যে ঢুকে যাওয়া প্লাস্টিকের খেলনা রিভলবারের গুলি বের হওয়ায় স্বস্তিঃ ফিরে পাই। ডাক্তার বাবু কে অসংখ্য ধন্যবাদ।”