কোচবিহারে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রশাসন ও সিনির প্রতিনিধি দল।

0
348

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ বাল্য বিবাহ এক সামাজিক ব্যাধি। যার কবল থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রাম করে যাচ্ছে প্রশাসন। সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনও। তবুও মাঝে মাঝেই খবর পাওয়া যায় বাল্য বিবাহের। এবার এমনই এক নাবালিকার বিয়ের খবর পাওয়া গেলো কোচবিহারের হাড়িভাঙ্গা গ্রামপঞ্ছায়েতে। কোচবিহার-১ ব্লক, হারিভাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের, স্থানীয় প্রশাসন এবং সিনির তৎপরতায় এক কীশোরীর বিয়ে বন্ধ হলো। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে কোচবিহার ১নং ব্লকের হাড়িভাঙ্গা গ্রামপঞ্চাইতের আঠারোনালা গ্রামে।
সিনির তরফ থেকে জানা গিয়েছে ২৭তারিখ ওই কিশোরীর বিয়ের কথা ছিলো। মেয়েটি নাবালিকা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিনির প্রজেক্ট কো -অর্ডিনাটর জয়া দাস , ফিল্ড ফেসিল্যাটেটর রুবাইয়া পারভীন এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী শঙ্কর দেবনাথ, উপ প্রধান শ্রীমতি মুক্তি বর্মন, পঞ্চায়েত মেম্বার মোস্তফা আলী প্রমুখরা দেওয়ানহাটের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে পৌঁছান।
নাবালিকার অভিবভাবকদের সঙ্গে বাল্য বিবাহের কুফল গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। শেষে ওই কিশোরীর বাবা বলেন, ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দিবেন না সেই সঙ্গে মেয়ের পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন । তিনি মুচলেকাও লিখে দেন।
নাবালিকার বিয়ে রুখতে পেরে স্বস্তিতে প্রশাসনও। হারিভাঙ্গা পঞ্চায়েত প্রধান শঙ্কর দেবনাথ বলেন, সিনির প্রতিনিধিরা তাদের সুত্র মারফৎ খবর পেয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। আমরাও বিডিও ও থানার সাথে যোগাযোগ করি। তারপর আজ সবাই মিলে গিয়ে মেয়ের বাবা মা কে বোঝাই যে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া কেন উচিৎ নয়। মেয়ের বাবা বিয়ে না দেওয়ার কথা দিয়েছেন। এছাড়া একটি মুচলেকাও দিয়েছেন। এলাকার লোকেদের মধ্যে সচেতনতা খুব কম। মেয়েদের কম বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়। এই ব্যাপারে এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here