ঝাড়গ্রাম, নিজস্ব সংবাদদাতা :- বনধ সফল করতে রাস্তায় মিছিল ও বাইকবাহিনী টহল দিচ্ছে সিপিএমের । ঠিক তার উল্টো ছবি চোখে পড়েছে ঝাড়গ্রাম শহরে তৃণমূলের ঝাণ্ডা কাঁধে নিয়ে সকাল থেকেই শহরবাসীকে দোকান খোলার জন্য রাস্তায় নেমে পড়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর গোবিন্দ সোমানি । ঠিক তার কিছুক্ষণ পরেই ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ রাস্তায় নেমে শহরের দোকানদারদের দোকান বাজার খুলে রাখার অনুরোধ জানান ।
১২ দফা দাবিকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলি দু’দিনের বন্ধের ডাক দিয়েছে । সেই বনধকে সফল করতে সোমবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামে সিপিএম, সি পি আই, এসইউসিআই । শহরের রাস্তায় মিছিল করে এসইউসিআই । ঝাড়গ্রাম শহরের পাশাপাশি গোপীবল্লভপুর , শিলদায় সকাল থেকে পথ অবরোধের শামিল হয় স্থানীয় সিপিএমের কর্মীসমর্থকরা । এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে রাস্তায় কোন বাসের দেখা নেই । পণ্যবাহী লরি ও ছোট গাড়ির দেখা নেই । পেট্রল পাম্প গুলিতে এবং ব্যাঙ্ক গুলিতে সিপিএমের দলীয় পতাকা বেঁধে দেওয়ায় সিংহভাগ পেট্রোল পাম্প ও ব্যাংক আজ বন্ধ রয়েছে । ঝাড়গ্রামের জুবলি মার্কেট সকাল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে । কিন্তু ঝাড়গ্রামের সবজি বাজার ও পাইকারি সবজি বাজার স্বাভাবিক দিনের মতোই হচ্ছে ।
শহরের দোকানদারদের দোকান খোলার জন্য রাস্তায় নেমে পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, বনধকে মানুষ সমর্থন করেনি । জোরপূর্বক বনধ করা হচ্ছে । জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আমরা রাস্তায় নেমেছি । সাধারণ মানুষদের দোকান খোলার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি যে ভয় পাবার কিছু নেই । সেইমতো ঝাড়গ্রাম শহর প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে ।
সিপিআই এর যুব সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রতীক মৈত্র বলেন , সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছে বনধকে, আমরা কোন জোর করিনি । আমরা কেবল মাত্র আবেদন করেছিলাম আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রাস্তায় নেমে শহরের দোকান খোলা নিয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, যিনি চেয়ারম্যান হয়েছেন যাকে আমরা দিদি বলে সম্মান করি । তিনি সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক ট্রেড লাইসেন্সের ভয় দেখিয়ে দোকান খোলা করাচ্ছেন ।