দলীয় নির্দেশ অমান্য করে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা, দিনহাটায় বহিষ্কার তৃণমূলের ৮ পঞ্চায়েত সদস্য।

0
269

মনিরুল হক, কোচবিহারঃ দলীয় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনাস্থা নিয়ে এসে এক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ায় ৮ পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার এবং এক ব্লক সভাপতিকে শোকজ করল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন কোচবিহার শহরের গোলবাগান এলাকার বাড়ির অফিসে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে পাশে বসিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যদের বহিষ্কার এবং দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বর্মণকে শোকজ করার কথা ঘোষণা করেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়।
জানা যায়, সম্প্রতি সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বড় শোলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি বর্মণের অনাস্থা এনে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেন দলেরই ৮ পঞ্চায়েত সদস্য। ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের পেছন থেকে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মণ মদত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরিপেক্ষিতেই এদিন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় নিজের বাড়ির দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে অনাস্থাইয় অংশ গ্রহণকারী ৮ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিষ্কারের ঘোষণা করেন। পাশাপাশি ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মণকে শোকজ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছেন। এরপরেই রাজ্য নেতৃত্বের সাথে কথা বলে ৪৮ ঘণ্টা পরেই চূড়ান্ত সিধান্ত ঘোষণা করবেন বলে পার্থ প্রতিম রায় জানিয়ে দেন।
এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিতাই বিধানসভা এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। জগদীশবাবু বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করে দলীয় ব্লক নেতৃত্বের অঙ্গুলিহেলনে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসে তা পাস করেছেন। দল তাদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না। সেই কারণেই রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মনকে শোকজ এবং ৮ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে বহিস্কার করা হয়েছে। দলের সঙ্গে এদের আর কোনো রকম সম্পর্ক থাকবে না।”
পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “রাজ্য নেতৃত্বে সাথে আলোচনা করে জেলা নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির ক্ষেত্রেও উদাহরণ হয়ে থাকবে। দলের বিরুদ্ধাচরণ দল কোন অবস্থাতেই মেনে নেবে না।”
পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিগত দিনে বহিষ্কার হওয়ার জেলা পরিষদ সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেনের সাথে বিধায়কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, নুর আলম হোসেন ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদন আমরা রাজ্যস্তরে পাঠিয়েছি। যেহেতু নুর আলম জেলা পরিষদের সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ সেই কারণেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যাওয়াটাই স্বাভাবিক। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী তাঁর জনপ্রতিনিধিত্ব আমরা কেড়ে নিতে পারি না।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here