মনিরুল হক, কোচবিহার: চেন্নাই-নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি টু টায়ার কোচে দুঃসাহসিক মোবাইল চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেল পুলিশের কর্তব্য নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষাণগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। ওই ঘটনার পর নিকটবর্তী জিআরপিতে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাদের স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়। গতকাল রাতে সাংবাদিক সুমন মন্ডল ও তার স্ত্রী দিনহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পুরো বিষয়টি নিয়ে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেল পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে।
জানা গেছে, চেন্নাই থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের দিকে আসছিল এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কিষানগঞ্জ স্টেশন পার হতেই বেশ কয়েকজন যাত্রী লক্ষ্য করেন তাদের মোবাইল ফোন নেই। এদের মধ্যেই দিনহাটার এক দম্পতি ছিলেন সুমন মন্ডল পেশায় সাংবাদিক এবং তার স্ত্রী সোমা মন্ডল। তারাও তাদের তিনটি এন্ড্রয়েড মোবাইল খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তৎক্ষণাৎ তারা নিকটবর্তী জিআরপিতে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে তাদের স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেল পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে। কি করে একটি এসি কামড়ায় সাধারণ প্যাসেঞ্জারের অবাধ যাতায়াত থাকতে পারে সেই প্রশ্নও তুলে ধরেছেন সাংবাদিক সুমন মন্ডল।
শুধু তারাই নয় ওই কামরায় বেশ কয়েকজন যাত্রী তারাও তাদের মোবাইল ফোন খুঁজে পাননি। পরবর্তীতে ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছানোর পর নিকটবর্তী GRP তে গিয়ে বিষয়টি জানালে সেখান থেকে তাদের দিনহাটা GRP তে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। এদিকে এসি কামরার ভেতর থেকে মোবাইল চুরির ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে একসাথে তিনটি মোবাইল চুরি যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক সুমন মন্ডল। ইতিমধ্যেই তিনি এদিন সন্ধ্যায় দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোবাইল চুরির ঘটনায়। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।