আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ পরিবর্তনশীল সময়, পরিবর্তনশীল মানুষের রুচিবোধ, যুগের সাথে তালে তাল মিলিয়ে বর্তমানে মানুষ হয়েছে যন্ত্রনির্ভর, হয়তো এটাই স্বাভাবিক, নয়তো পিছিয়ে পড়তে হয় যোজন যোজন পথ ,,
কিন্তু পুরানো সব কিছুই নয় মন্দ তার মধ্যেও আছে অনেক ইতিবাচক পটভূমি আর সেরকমই বহু উদাহরণ গ্রামবাংলায় ছড়িয়ে আছে আজও।
কলে ভাজা মুড়ি এখন গ্রাম থেকে শহরের বাজার দখল করেছে যদিও হাতে ভাজা মুড়ির সেই স্বাদ নেই কলে ভাজা মুড়িতে কিন্তু সময়োপযোগী পদক্ষেপ, ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে হাতে ভাজা মুড়ির।
গরিব পরিবারের জন্ম দুর্গা মাইতি, বিবাহের আগেও হাতে ভাজতেন মুড়ি, বিবাহের পর ও পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন মুড়ি ভাজাকেই এর অন্যতম কারণ দারিদ্রতা, এক ভিনদেশি সঙ্গে বিবাহ দুর্গা মাইতি যিনি কাজ কর্ম তেমন করতেন না সংসার চালাতে হাতে ভাজা মুড়ি নিয়ে পৌঁছাতেন মানুষের বাড়ির দরজায় দরজায়। 15 বছর আগে ভিনদেশী স্বামী দুর্গা মাইতি ও তার ছেলে মেয়েদের ছেড়ে চলে যায় আর তারপর থেকেই নিজের হাতে ভাজা মুড়ি মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে তার থেকে উপার্জনের টাকায় ছেলে মেয়ে মানুষ, তাদের পড়াশোনা এবং সংসারের অন্যান্য চাহিদা পূরণ করেছেন।
একটা সময় গেছে যখন কলে মুড়ি ভাজা হতো না তখন প্রতিদিনের চাহিদা ভালই থাকতো কিন্তু বর্তমানে কলে ভাজা মুড়ি বাজার দখল করেছে এমতাবস্তায় কলে ভাজা মুড়ির সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে গিয়ে ব্যবসায় এসেছে ভাটার টান , কমেছে রোজগার এই অবস্থায় পেট চালানোই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্গা মাইতির কাছে তবুও মনোবল হারাননি তিনি,।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামের দুর্গা মাইতির লড়াই জারি আছে নিজের জন্য এবং ছেলেমেয়েদের জন্য।