মনিরুল হক, কোচবিহারঃ সারা রাজ্যের সাথে সাথে কোচবিহার জেলাতে পালিত হল হুল দিবস। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলার ডি এম অফিস সংলগ্ন উৎসব অডিটোরিয়াম হলে হুল দিবস পালন করা হয়। এদিন হুল দিবসের পাশাপাশি কোচবিহার জেলার ৪৬ জন মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের হাতে ডঃ বি আর আম্বেদকর মেধা পুরস্কার দেওয়া হয়। এদিন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমা কান্ত বর্মণ, কোচবিহার জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ এবং জলসম্পদের কর্মাধ্যক্ষ শুচিস্মিতা দেব শর্মা সহ অন্যান্য অতিথিরা।
উল্লেখ্য, হুল দিবস হল সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৬৭ বছর আগের সাঁওতাল বিদ্রোহকে স্মরন করে ৩০শে জুন প্রতিবছর পালিত হয় হুল দিবস। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে গণ্য করা হয় এই দিনটিকে। ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা ‘সান্তাল হুল’-এর সূচনা হয়।এই আদিবাসীদের বিদ্রোহে নেতৃত্বে দেন সিধু-কানুর। ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রেক্ষিতে কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলে ইংরেজ সিপাহিরা। পুরুলিয়া জনজাতির কাছে এই দিনটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, দুই সাঁওতালি বীরযোদ্ধার স্মরণে উদযাপিত হয় এই বিশেষ দিনটি। সেই দিনটিকে পালনের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। সেই কারনে সারা রাজ্যের সাথে সাথে হুল দিবস পালিত হল কোচবিহার জেলাতেও।