দশ বছর বয়স থেকে বাঁশের হস্তশিল্পের সাথে প্রেম কালীপদ দাসের।

0
245

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ “অনেককে বাঁশ দেয়ার কথা শুনেছেন”…… একে অপরকে বাঁশ দিতে অর্থাৎ বিপদে ফেলতে মানুষ সদা প্রস্তুত। কিন্তু সেই বাঁশ দিয়ে অনিন্দ্য সুন্দর , চোখ ধাঁধানো হস্তশিল্প সকলের নজর কেড়েছেন বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের জোতবেহার গ্ৰামসভা হাইস্কুলের করণিক কালিপদ দাস। তিনি ইন্দাস এর বাসিন্দা। দশ বছর বয়স থেকেই তার একই ধ্যান, একই জ্ঞান, বাঁশের হস্তশিল্পের সাথে প্রেম। ভালোবাসায় সব হয়। শিল্পীর হাতে এক একটি বাঁশের টুকরো একা একটি জীবন্ত প্রতিকৃতি তৈরি হয়। তার এই ভালোবাসার ফসল গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাঁশের সূক্ষ্ম কারুকার্যে তৈরি হাই স্কুল, রবীন্দ্রনাথের মূর্তি, ঝাড় লন্ঠন, গ্রাম্য বাড়ি, বিভিন্ন মনীষী , বিষ্ণুপুরের লন্ঠন, ইন্দাসের গৌরী পন্ডিতের স্মৃতিস্তম্ভ, গণেশের মূর্তি, নারকেল গাছের ছালের মাদারটেরেজা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, নানান ধরনের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য,গরুর গাড়ি আরো কত কি। কাঠের কাজ করার পর যে ছিলা পাওয়া যায় তা দিয়ে তৈরি করেন বিদ্যাসাগর,সারদা দেবী, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ ও মহাত্মা গান্ধী।না দেখলে আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে বাঁশ দিয়ে শুধু মানুষের ক্ষতি সাধন করা যায় না, অনেক সূক্ষ্ম কারুকার্যমণ্ডিত হস্তশিল্প তৈরি করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here