আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ নিজের বিয়ে রুখে প্রশংসিত বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের কন্যা। দশম শ্রেনীর নাবালিকা জানতে পারে তার পরিবার বিয়ের দেখশোনা শুরু করেছে। সেই খবর পেয়ে সটান থানায় হাজির নাবালিকা। পুলিশ কে সে জানায় এখন বিয়ে নয় সে পড়াশুনা করে শিক্ষিকা হতে চায়। নাবালিকার এই সাহসী পদক্ষেপ কে কুর্নিস পুলিশ ও প্রশাসনের।
বাবা মা ও আত্মীয় পরিজন শুরু করে দিয়েছে বিয়ের দেখাশোনা। বিয়ে বাড়ির এই ততপরতা দেখেই নাবালিকা সটান হাজির পাত্রসায়ের থানায়। পাত্রসায়ের থানা এলাকার দশম শ্রেনীর ছাত্রী সে এখন বিয়ে নয় এখন পড়াশুনা তারপর লক্ষ্য নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন নিয়ে থানায় এসে পুলিশ কে জানায় সবকথা। নাবালিকা মেয়ের সাহসী উদ্যোগ দেখে খুশি পুলিশ ও প্রশাসন। এরপরেই নাবালিকার বাবা ও মা কে থানায় ডেকে পাঠিয়ে সচেতন করল পুলিশ। মেয়ের বিয়ের নয় রয়েছে পড়াশুনার জেদ তা প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারে নাবালিকার পরিবার। নাবালিকার দাবি সে চায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে। আর সমাজ কে বার্তা দিতে ১৮ বছরের আগে কোন ভাবেই বিয়ে নয়।
পাত্রসায়েরের কন্যা যে ভাবে সমাজ কে দেখিয়ে দিয়েছে বাল্য বয়সে বিয়ে নয় তাতে উচ্ছ্বসিত পুলিশ ও প্রশাসন। নাবালিকা কে উৎসাহ ও সব ধরনের সহযোগিতার ও পাশে থাকার আশ্বাসে প্রশাসনের। এদিন ওই গ্রামে গিয়ে এলাকার মানুষের কাছে এই নাবালিকার প্রসঙ্গ কে তুলে ধরে এলাকার মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিলেন পাত্রসায়ের থানার পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন।
বাইট নিবিঢ় মন্ডল ( বিডিও, পাত্রসায়ের)