বাঁকুড়া জেলার তিলুড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির ডেপুটেশন , মিছিল, প্রধান বললেন তিনি জানেন ই না।

0
219

সুদীপ সেন, বাঁকুড়া:-  সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, আর এই নির্বাচন কে পাখির চোখ করে সংগঠন কে মজবুত করতে চাইছে শাসক থেকে বিরোধী, সব রাজনৈতিক দল।

সেই উপলক্ষ্যে ই বিজেপি পক্ষ থেকে ৪ই জুন সোমবার বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া ব্লকের তিলুড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির পক্ষ থেকে কয়েকটি দাবী দাওয়া নিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়।

গান্ধী মোড় থেকে তিলুড়ী বাজার ঘুরে একটি মিছিল পঞ্চায়েত অফিসে আসে।

দলীয় কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখার সময় জানতে পারেন পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েতে আসেন নি।

অতএব তাঁরা ডেপুটেশন না দিয়ে তাঁদের কর্মসূচি শেষ করেন।

এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে উল্লেখ্য বিশেষ নেতৃত্ব গণ হলেন শালতোড়ার বিধায়িকা চন্দনা বাউরী, বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল, মন্ডল সভাপতি উজ্জ্বল পরামানিক, জেলা সম্পাদক স্বপন মুখার্জী, সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্ত্তী, যুব মোর্চার জেলা সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুম্বকার ও অন্যান্য নেতৃত্ব গণ।

বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল এবং বিধায়িকা চন্দনা বাউরি বলেন ,তাঁরা এলাকার মানুষের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি তৈরি, একশো দিনের বকেয়া টাকা সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের নিকট ডেপুটেশন দিতে এসেছিলাম।

তাঁরা বলেন, প্রধান এইসব বিষয়ে সঠিক উত্তর দিতে পারবেন না বলে ভয়ে পালিয়ে গেছেন, আজ পঞ্চায়েত অফিসেই আসেন নি।

যদিও এই বিষয়ে তিলুড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়শ্রী চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই বিষয়ে তাঁর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান।

তিনি বলেন, তিনি বিজেপির আজকের ডেপুটেশনে র কথা জানতেন ই না, সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধির কাছ থেকে জানলেন।

তিনি আরো বলেন, বিজেপির জেলা সভাপতি তাঁর নামে ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা অবান্তর ও দায়িত্ব জ্ঞান হীন।

আগে তাঁরা ডেপুটেশন দেওয়ার পদ্ধতি জেনে আসুন, তাঁদের শিক্ষার প্রয়োজন আছে। তাঁরা লিখিত কোনো অনুমতি ই নেন নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here