একুশে জুলাই হচ্ছে পাগলু ডান্স দিবস ওদের। ওদের গান-বাজনা হবে,আর চাঁদা তুলবে কাট মানির জন্য মেদিনীপুর থেকে মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

0
316

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  ২১শে জুলাই হচ্ছে পাগলু ডান্স দিবস ওদের। ওদের গান-বাজনা হবে, আর চাঁদা তুলবে কাট মানির জন্য। একুশে জুলাই হচ্ছে যেমন পুজোর সময় বোনাস দেয়া হয় কর্মীদের,সেইরকম একুশে জুলাই প্রোগ্রাম করা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদেরকে যাতে তুলা তুলে তাদেরকে বোনাস দেওয়ার জন্য। শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে দলীয় কর্মসূচিতে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, পাশাপাশি ক্যানিং প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন আমরা আগেই বলেছি গোটা পশ্চিমবঙ্গ বোমা আর গুলিতে ভর্তি হয়ে গেছে। যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে গুলি করা হয়েছে ফের কোপানো হয়েছে এবং পুরো দায়টা বিজেপির ঘাড়ে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন বাঁচতে চাইছে, শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীরা বলছে, গুলি করার পর কোপানোর পর মাথাকে ধর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল মানে তালিবানী কায়দায়। আমার বিশ্বাস তৃণমূলের দুই ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে এই লড়াই এবং এর পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করছে, সেজন্য দেখবেন প্রকৃত দোষীরা গ্রেপ্তার হয়নি।
অন্যদিকে AIMS প্রসঙ্গে তিনি বলেন সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ওগুলো কোন চাকরি নয় কন্ট্রাকচুয়াল জব। যে তথ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পরিবেশন করা হচ্ছে এবং সেই তথ্য ভুল এবং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেহেতু সিবিআই তদন্ত হয়েছে, লক্ষ্য লক্ষ্য কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য সিবিআই ও ইডি তদন্ত হচ্ছে, সেটাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এই ধরনের সিআইডি তদন্ত করা হচ্ছে। এগুলোতো চাকরি নয় এগুলো তো কন্ট্রাকচুয়াল জব আজ আছে কাল নেই।
আবার মেদিনীপুরে জাল নথিতে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে বলেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের সব থেকে নন প্রফেশনাল বা আন প্রফেশনাল ফোর্স বলতে পারেন। তাদের কাজ হচ্ছে? যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবে এবং তার ভাইপো যাবে সেখানে পাঁচ হাজার সাত হাজার পুলিশ দিয়ে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আর বিজেপির নেতা-নেত্রী যারা একটু সক্রিয় হয়ে কাজ করবে তাদের ধরে ধরে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো, বিজেপির বিধায়ক কার্যকরদের ঝামেলায় ফেলা, তাছাড়া পুলিশের আর কোন কাজ নেই।অন্যদিকে অর্জুন সিং প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন অর্জুন সিং এখন তো তৃণমূলে আছেন স্বাভাবিকভাবে পুলিশ প্রশাসন তাকে প্রচুর প্রটেকশন দেবে, তারতো নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। পাশাপাশি আসানসোলে পুলিসের সঙ্গে গ্রামবাসীদের খন্ডযুদ্ধ প্রসঙ্গে বলেন রাজ্য সরকার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মেইনটেইন করতে পারছেন না, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন আছে, সঙ্গে কথা বলি কাজ করা দরকার কারণ ওখানে ফারাক্কার বিভিন্ন অঞ্চলে হাই টেনশন বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এবং ফারাক্কার যে এলাকার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ওই এলাকার লিচু এবং আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত, এক একটি গাছের দাম কয়েক লক্ষ টাকা হওয়া উচিত কিন্তু সেই পরিমাণ ক্ষতিপূরণের টাকা কিন্তু কৃষকরা পাচ্ছেন না, তারা আমার কাছেও এসেছিলেন এবং এই ক্ষেত্রে এই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এই সমস্ত বাগানগুলোকে সম্পূর্ণ চাষীদের কাছ থেকে নিয়ে তুলে দিয়েছে শিল্পপতিদের কাছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here