রণেশ্বর শিব মন্দিরে দুর্গাপূজা, অনন্য নজির পাঁশকুড়া এলাকায়।

0
460

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  আনুমানিক ৩০০ বছর আগে  মন্দিরের পার্শ্ববর্তী এলাকার এক ব্যক্তি  স্বপ্নদেশ পেয়ে এই জায়গার মাটি খুড়ে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে,প্রথমে মাটির দেওয়াল ছিল পরে ওই মন্দিরের পুন: প্রতিষ্ঠা করেন গোপালনগর নিবাসী চন্দনশেখর মাইতি,বর্তমানে কলকাতার পাটুলির অধিবাসী,তিনি সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারীক ছিলেন,তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রণেশ্বরের মন্দির
পুন প্রতিষ্টিত হয়।।রণেশ্বর মন্দিরের শিব ঠাকুর খুবই জাগ্রত,বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে এলাকাবাসী সহ মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা।
1997 সালে প্রথম রনেশ্বর শিব মন্দিরে দুর্গা পূজার
প্রতিষ্টা করেন চন্দনশেখর মাইতি,সহযোগী ছিলেন স্বর্গীয় তারাপদ দাস,লক্ষণ চন্দ্র দাস,ষোড়শী প্রসাদ হড় সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
ষোড়শী প্রসাদ হড় তারা বংশ পরম্পরায় এই  শিব মন্দিরে পূজা করে আসছে,
এ বছর ২৫ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে
রণেশ্বর দুর্গোৎসব কমিটি,দুর্গাপূজার শুরুর দিকে
শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমা থাকলেও পরে সেটি
নব দূর্গা সহ দুর্গার ২৯ টি রূপ পূজিত হয়।
পিতপুর, কেশাপাট,দেহাটি গোপালনগর,গোপালপুর  এই পাঁচটি গ্রামের অধিবাসীদের যৌথ উদ্যোগে গাজন ও দুর্গোৎসব
পালিত হয়ে আসছে।গাজন উৎসবের উদ্যোক্তা হলেন স্বপন কুমার দাস, সদানন্দ রানা ,সতী সাধন ভট্টাচার্য।
রণেশ্বর দুর্গোৎসব কমিটিতে প্রথম নবদুর্গার সূচনা করেন ‌স্বর্গীয় সহদেব দাস,মাত্র ২৫ বছর বয়সে
তিনি দেহ ত্যাগ করেন,দশম বছরে দশমহাবিদ্যা,এভাবে শুরু করে এ বছর ২৫ তম বর্ষে 29 টি দুর্গার আরাধনায় ব্রতি হয়েছে রনেশ্বর দুর্গোৎসব কমিটি।

শিব মন্দিরে দুর্গাপূজা এধরনের অনন্য নজির গড়ল পাঁশকুড়ার  রণেশ্বর দুর্গোৎসব কমিটি।
এবছর 25 তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে
রয়েছে থিমের প্যান্ডেল,35 জন পুরোহিত
দিয়ে পুজো হয়।
পাশাপাশি মহালয়ার দিন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির,চক্ষু পরীক্ষা শিবির,স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির,রক্তের গ্রুপ নির্ণয়,শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা
পাশাপাশি রয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,এছাড়াও ষষ্ঠীর দিন রয়েছে
ব্যান্ড সহযোগে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা,পাশাপাশি পাঁচটি গ্রামের শীতলা মন্দিরে পুজো দিয়ে দুর্গাপুজোর শুভ সূচনা হবে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে  সামাজিক কর্মসূচি গুলোর উদ্যোক্তা হলেন চণ্ডীচরণ ভট্টাচার্য ,রনেশ্বর দুর্গোৎসব কমিটির
সভাপতি হলেন তপন কুমার সাবুদ,সম্পাদক শুভাশিস মাইতি,সহ সম্পাদক সুনীল কুমার দাস,কোষাধক্ষ্য তাপস কুমার মাইতি,এছাড়া রয়েছে দেবাশীষ মাইতি তপন কুমার পট্টনায়ক,অন্যতম সহযোগী
নিমাই পান্ডা, প্রকাশ ভট্টাচার্য
সহ একাধিক ব্যক্তিবর্গরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here