২০১৭ সালের বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে ফের নয়া মোড়, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং তার স্বামী।

0
218

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- ২০১৭ সালের বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে ফের নয়া মোড়, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং তার স্বামী, গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপির, ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কি করে ব্লক নেতৃত্বের পদে প্রশ্ন শাসকদলের অভ্যন্তরে, সাফাই জেলা তৃণমূলের, তীব্র খোঁচা কংগ্রেসের, শুরু তরজা

২০১৭ সালের মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে চাঞ্চল্যকর মোড়। এবার এই ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান পূর্ত কর্মাদক্ষ জয়শ্রী কর্মকার এবং তার স্বামী বাপি পাল কে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এই দাবিতে এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর কুশিদা বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখালো হরিশচন্দ্রপুর বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবি ২০১৭ সালের বন্যায় ক্ষতি-গ্রস্তদের টাকা ব্যাপক ভাবে নয়-ছয় করে ছিলেন তৃণমূলের নেত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি জয়শ্রী কর্মকার। পাশাপাশি একই অভিযোগ হয়েছিল বর্তমান সভাপতি কোয়েল দাস, পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দল-নেত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেত্রী সুজাতা সাহা, ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ রোশনারা খাতুনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং কোর্টে মামলা দায়েরও করা হয়। অভিযোগের পরি-প্রেক্ষিতে রোশনারা খাতুনের জেল হয় অন্যদিকে কোয়েল দাস এবং সুজাতা সাহা, কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন। কিন্তু রহস্য জনক ভাবে জয়শ্রী কর্মকার এবং তার স্বামী বাপি পালের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয় এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার তো দূরের কথা প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি বলে অভিযোগ বিজেপির।
অন্যদিকে দেখা যায় সম্প্রতি শাসক দলের ব্লক কমিটির তালিকা প্রকাশ হলে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তিনটা অঞ্চলের মহিলা সভাপতি হিসাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা জয়শ্রী কর্মকারের। আর এই ঘটনার পরে রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা বাস-স্ট্যান্ডে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।


যদিও জয়শ্রী কর্মকার ও তার স্বামী বাপি পালকে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।

এদিকে এ বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে নারাজ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। জেলা মুখপাত্র শুভময় বসু জানান সমস্ত ঘটনা না জেনে কোন মন্তব্য করব না। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, দোষী প্রমাণ হলে আইন এবং দল অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here