চাঁচল একনম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রামের রাজ্য সড়কের পাশে মা চন্ডির মন্দিরে পুজা প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে ।

0
650

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ-মালদহের চাঁচল একনম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রামের রাজ্য সড়কের পাশে রয়েছে মা চন্ডির মন্দির।
রাজার আমল থেকে প্রতিষ্ঠিত করা রাজ বাড়ির এই দুর্গা রুপে চন্ডী মাতা।এই পুজা প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে ।কথিত আছে,প্রায় ১১৭৮ সালে রাজা রামচন্দ্র রায় চৌধুরী স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন বর্তমানে যেটা মড়া মহানন্দা সেটা একসময় বহতি ছিলো,প্রচুর জলে ভরে থাকতো সেখানের সতীঘাটায় এসে আটকে গেছিল, সেই সতীঘাট উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করে পুজো অর্চনা শুরু করেন।পরবর্তীতে ঈশ্বরচন্দ্র রায় চৌধুরী তার ছেলে শরৎচন্দ্র রায় চৌধুরী পাহাড়পুরে স্থায়ী মন্দির তৈরি করে মূর্তি স্থাপন করে পুজো শুরু করেন।

১০৮ টা পদ্ম ফুল দিয়ে সন্ধিপূজো করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে এই পুজো দেখতে ভক্তরা আসে। পুজোর দশমীতে মাকে বিসর্জন হয় পাশের মহানন্দা ঘটে।

জানা যায় রাজাদের আমলে প্রতিবেশী মুসলিমদেরকে এক স্বপ্ন দিয়েছিল সেটি হচ্ছে বিসর্জনের সময় তাদেরকে হারিকেন দেখাতে হয় তারপর বিসর্জন হয়। এই পরম পরায়ই মেনে ৩০০ বছর থেকে পালন করে আসছে।

স্থানীয় সূত্রে থেকে জানা যায়, চাচল রাজবাড়ী থেকে সপ্তমীতে মা চন্ডী এই পুজো মণ্ডপে আসে সোনার প্রতিমার দশমীর দিন সকাল নাগাদ সেই পুরনো রাজবাড়িতে ফিরে যায়।
সেই সময় প্রায় ১০ থেকে ১২০০০ হাজার মানুষদের ভিড় দেখা দেয়, যেমন বিশেষ তাদের নিয়ম ঢাক থাকে একুশটা।

এখানে পূজোর পুরানো নিয়ম- মেনে মায়ের পুজো হয়ে আসছে।এই চন্ডী মায়ের নামে কিছু জমি রয়েছে সেখান থেকে মায়ের পুজোর খরচ আসে। ষষ্ঠ সপ্তমী অষ্টমী নবমী এই তিন দিন খিচুড়ি খাওয়ানো হয় এবং অষ্টমীর দিন লুচি বুদিয়া তরকারি মিষ্টি আরো বিভিন্ন রকমের পদ খাওয়ানো হয়।।

দশমীর দিন মা যখন বিদায় নেয় সেই সময় মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। সেই মায়ের বিসর্জন হয় প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে পাশের মহানন্দা নদীতে।
বিসর্জনের সময় মায়ের মূর্তিটিকে ঋষিযোগী তারাই ঘাড়ে করে নিয়ে গিয়ে মাকে বিদায় জানান।

প্রায় মায়ের মন্দির ৫০ থেকে ৬০ ফিট উচ্চতায় রয়েছে। সেই রাজাদের আমলের মন্দির টি।
এই পূজোর মন্ত্রটি হল সেই রাজাদের আমলে ব্রাহ্মণরা হিন্দু ধর্মের যে মন্ত্রটি রয়েছে সেই মন্ত্রটিতেই পূজোটি সম্পূর্ণ করে।

এই পূজোর দায়িত্বে এখন রয়েছে কোষাধ্যক্ষ রয়েছেন হরিগোপাল দাস, সম্পাদক রয়েছেন সুদর্শন দাশ, অচিন্ত মিশ্র,পাহাড়পুর গিলাবাড়ী গ্রামবাসী সমস্ত গ্রামবাসী মিলে এই পুজো সম্পূর্ণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here