আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ ‘জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, মহার্ঘ্যভাতা সমস্ত সরক্রী কর্মচারী, পুলিশ শিক্ষকদের পাওয়ার কথা। কিন্তু এই সরকার দিচ্ছেনা’। অভিযোগ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিমের। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরে দলীয় এক কর্মসূচীতে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথা বলেন তিনি। সেলিম এদিন আরো বলেন, মহার্ঘ্যভাতা বামপন্থীরা লড়াই করে আদায় করেছে। আদালত ধাক্কা দিচ্ছে অথচ সরকারের কোন লজ্জা নেই। এবার ‘জনগণ বড় ধাক্কা দেবে’ বলে তিনি দাবি করেন।
পঞ্চায়েত প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মহঃ সেলিম বলেন, আমাদের ‘নজরে পঞ্চায়েত’। পার্থ চ্যাটার্জী, অপা কিম্বা তৃণমূল নেতাদের যেরকম টাকার পাহাড়, সেরকম পঞ্চায়েত পৌরসভায় তৃণমূল নেতাদের টাকার টিলা আছে। আমরা সেসব খুঁজে বার করছি। আমরা বলছি চোর ধরো জেল ভরো। একই সঙ্গে সমস্ত পঞ্চায়েত ‘লুঠেরাদের হাত থেকে উদ্ধার করে মানুষের হাতে তুলে দেওয়া’র কথা ঘোষণা করেন তিনি।
কুড়মি সমাজের অবরোধ প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওঁদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, রীতি, নীতি, ভাষা, শিক্ষার দাবি যথেষ্ট গণতান্ত্রিক। সব জনগোষ্ঠীর অধিকার আছে স্বতন্ত্র রক্ষা করে এগিয়ে যাওয়া। আর এই কাজে পৃষ্ঠপোষকতা করা সরকারের কাজ। যা রাজ্য বা কেন্দ্র কেউ করছেনা বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিন একশো দিনের কাজ ও বকেয়া মজুরীর দাবিতে লাগামহীন দূর্ণীতির অভিযোগ তুলে ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাঁকুড়া শহরে ‘পূজো স্পেশ্যাল ঝাল মুড়ি’, ‘কোটি পতি ঘুগনী’ আর কেটলিতে চা নিয়ে অভিনব মহা মিছিল সিপিআইএমের। শহরের হিন্দু স্কুল থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এই মিছিলের পূরোভাগে রয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র, দেবলীনা হেমব্রম, বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি সহ অন্যান্যরা। মিছিল শেষে মাচানতলা ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডে এক সভায় বক্তব্য রাখেন মহঃ সেলিম সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।