লুপ্তপ্রায় খেলা মনে করিয়ে দেয় শৈশবের মুছে যাওয়া দিনগুলি।

0
607

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ“ডাকছে আকাশ, ডাকছে বাতাস, ডাকছে মাঠের সবুজ ঘাস / ও ছেলেরা খেলা ফেলে শুধুই কেন পড়তে যাস?”….. আজ কালকার প্রজন্ম সবুজ মাঠে অথবা পাড়ার আনাচে কানাচে খেলাধুলা করতে ভুলে গেছে। পাহাড় প্রমাণ পড়াশোনার চাপ, চার পাঁচটা টিউশন করতেই তাদের সময় শেষ। মা-বাবারা তাদের জীবনের অসাফল্যের বোঝা বা দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছে সন্তানদের উপর, তাদের প্রতিযোগিতার ইন্দুর দৌড়ে দিয়েছেন নামিয়ে। শুধু পড়াশোনা নয় পড়াশোনা সাথে থাকা চায় কো – কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি। বেচারা ছেলেমেয়েদের তো জীবন যায় যায়। খেলাধুলা করার সময়টাই বা কোথায়?? যদিও একটু আধটু সময় পায় সেই সময় তারা ব্যয় করে মুঠোফোনে গেম খেলতে। অভিভাবকরা খুব খুশি, ছেলে মেয়েরাও খুশি । এরা আকাশ দেখেনা, প্রকৃতিকে চেনে না, সবুজ মাঠে খেলাধুলা করে না। ছেলে মেয়েরা দিন দিন যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে, অনেক মজার মজার খেলাধুলা। যেমন, কিৎকিত খেলা, ঘুড়ি উড়ানো, লালটুর ভাই পল্টু, বিদ্যা – বিদ্দী, কানামাছি ভো, লুকোচুরি, কুমিরের জলটা বড় ঠান্ডা। আজ এখন ইতিহাস। আমাদের সাংবাদিক নিউজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়। চোখের সামনে লুপ্তপ্রায় খেলা গুলো দেখে ক্যামেরা বন্দি করে ফেলে।আর এই খেলা মনে করিয়ে দেয় শৈশবের মুছে যাওয়া দিনগুলি। এই প্রজন্ম এই মজার খেলা গুলোর মৌতাত পেল না। এই সকল লুপ্তপ্রায় খেলাধুলাগুলি মনে করিয়ে দেয় আমাদের হারিয়ে যাওয়া শৈশবের সোনা ঝরা স্মৃতিগুলি। বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতায় এবং ফাইভ জি যুগে আমাদের জীবন ঘরবন্দী, মুঠো ফোন বন্দি আর কম্পিউটার বন্দী। আমরা যন্ত্র বনে গেলাম, আর আমাদের সন্তানদের যন্ত্র বানিয়ে দিলাম। শৈশব চুরি হয়ে গেল। এর জন্য আমাদের চরম মূল্য চুকাতে হবে একদিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here