মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট।উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।দুর্নীতি বন্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবুও যেন দুর্নীতি কিছুতেই পিছুপা ছাড়ছে না তৃনমূলের।এবার মৃত মহিলা উপভোক্তার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের শাসকদল পরিচালিত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা পূর্ব বুথের তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্যা চাঁদনী খাতুন ও তার স্বামী রুকসেদ আলির বিরুদ্ধে।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক প্রশাসনের নিকট সিপিআইএম কে সঙ্গে নিয়ে
লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত উপভোক্তার ছেলে মহম্মদ মালেক।যদিও পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী রুকসেদ আলি ঘর বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন।মৃত উপভোক্তার ছেলে মালেক কে দ্রুত টাকা ফেরত না দিলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন সিপিআইএম।
জানা গেছে,২০১৪ সালের প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম ছিল বাগমারা পূর্ব বুথের বাসিন্দা আরিফা বিবির।সে আট বছর আগে মারা গেছে।সরকারি নিয়মানুযায়ী সেই ঘরটি পাওয়ার কথা ছিল তার ছেলে মালেকের।কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যা চাঁদনী খাতুন ও তার স্বামী রুকসেদ আলি
সেই ঘরটি টাকার বিনিময়ে অন্য এক আরিফার নিকট বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ।ইতিমধ্যে সে তিন কিস্তির টাকার পেয়েও গেছে।
মৃত উপভোক্তা আরিফা বিবির ছেলে তথা অভিযোগকারী মালেক জানান,২০১৪ সালের প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায়
তার মায়ের নাম ছিল।আট বছর আগে মারা গেছে।সেই ঘরটি তাকে না দিয়ে গ্রামের অন্য এক আরিফার কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে।তিনি আরো জানান,সে একজন দিনমজুর।তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। ভাঙাচোরা ঘরে কাটছে তাদের দিন।পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বলতে গেলে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।তাই টাকা ফেরতের দাবিতে বিডিওর নিকট অভিযোগ জানিয়েছি।
পঞ্চায়েত সদস্যা চাঁদনী খাতুনের স্বামী রুকসেদ আলি ঘর বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগটি স্বীকার করে নিলেও দায় চাপিয়েছেন পঞ্চায়েত নোডাল অফিসারের উপর।বিডিও র সঙ্গে আলোচনা করে টাকাগুলো ফেরত করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিডিও অনির্বাণ বসু ও পঞ্চায়েত প্রধান জৈনব নেশা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।