দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- প্রতি বছরের মতো এবছরও বীরভূম জেলার দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের পরিচালনায় আজ থেকে শুরু হল কাত্যায়নী পুজো। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী চারদিন ধরে চলবে এই পুজো। পুজো উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গনে বহু ভক্ত সমাগম হয়। ১৯৪২ সালে দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের সংঘগুরু শ্রী ঠাকুর সত্যানন্দ দেব মহারাজ এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। এখানে জগজ্জননী সারদা মাকে সারদা কাত্যায়নী, সারদা দুর্গা, সারদা লক্ষ্মী ও সারদা সরস্বতী রুপে পুজো করা হয়। এখানে কোনো মূর্তি হয় না, জগজ্জননী মা’কেই সারদা কাত্যায়নী রূপে পুজো করা হয়। আজ সপ্তমীর দিনে রীতি মেনেই কাত্যায়নী পুজো করা হয়। দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের শীর্ষসেবক স্বামী সত্যশিবানন্দ মহারাজ জানান, আজ থেকে দুবরাজপুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমে কাত্যায়নী পুজো শুরু হল। চারদিন ধরে চলবে এই পুজো। নবমীর দিনে আশ্রম প্রাঙ্গনে ভক্তসেবা হয়। ঐদিন আনুমানিক ৫ হাজার ভক্তকে খিচুড়ি প্রসাদ খাওয়ানো হবে। পাশাপাশি এই পুজো উপলক্ষে প্রতিবছরই বসে অভেদানন্দ মেলা। এ বছরও সেই মেলা হবে আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেমন যাত্রা, কবি, কীর্ত্তনগান, বাউল গান, কথকথা, আঞ্চলিক সমস্ত অনুষ্ঠানগুলি আয়োজিত হবে। তাছাড়াও এই পুজো উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরানগর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রম থেকে আমাদের ঠাকুরের আরাধ্য দেবতা গোপালজী এসেছেন। এমনকী বিভিন্ন মঠ ও মিশন থেকে সন্ন্যাসীরাও এসেছেন। উল্লেখ্য, বিগত দু’বছর করোনা অতিমারীর জন্য মেলা বন্ধ ছিল ঠিকই, তবে রীতি মেনে পুজো হয়েছে। এ বছর মেলায় অগণিত মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যাবে বলেও জানান সত্যশিবানন্দ মহারাজ।