বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সহবাস, প্রতারণার অভিযোগ।

0
120

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—-বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সহবাসের অভিযোগ। শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে যায় যুবতী। চাপ দিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। বিয়ের কথা বললে বিয়ে করতে নারাজ যুবক। অভিযুক্ত যুবক আবার এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। যুবতী এবং তার পরিবারের অভিযোগ তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নাম বলে ওই যুবক তাদের হুমকি দিচ্ছে। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ যুবতী। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিজেপির। পাল্টা তৃণমূল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত স্থানীয় এক গ্রামেরই বাসিন্দা অভিযোগকারী ওই যুবতী। অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার এক গ্রামের বাসিন্দা যুবক দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করে। এমনকি শারীরিক সম্পর্কের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে যুবতী। সেই সময় জোরপূর্বক গর্ভপাত করানো হয়। এখন যুবতী এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য বলা হলে, বিয়ে করতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবক। এমনকি এই ঘটনা বাইরে জানাজানি করলে বা পুলিশে অভিযোগ করলে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় ওই যুবক। বাড়িতে গিয়ে অত্যাচারও করে ওই যুবতীকে। অভিযুক্ত যুবক যুবতী কে জানিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না কেউ। অবশেষে কোন পথ না পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দারস্থ হয় ওই যুবতী। সমগ্র ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে সে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মামলা রুজু করে অভিযুক্ত যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল মানেই সব ধরনের দুর্নীতি এবং অন্যায় তীব্র কটাক্ষ বিজেপির। দল কোন রকম অন্যায় বরদাস্ত করে না, আইন আইনের পথে চলবে পাল্টা তৃণমূল। অভিযোগকারী যুবতী দাবি করে ওই যুবক তাকে বিয়ে না করলে তার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসবে। ঘটনা সামনে আসতেই ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।

অভিযোগকারী যুবতী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকবার সহবাস করেছে। আমি একবার গর্ভবতী হয়ে গেছিলাম। এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। আমি বিচার চাই এবং ওকেই বিয়ে করব।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে যানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।

অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা বলেন, এই সব ফালতু কথা। কেউ দলের নাম ব্যবহার করে অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। দল কোন অন্যায় বরদাস্ত করবে না। আইন আইনের পথে চলবে।এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া বলেন, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সমস্ত রকমের দুর্নীতি এবং অপরাধ এই দলে হয়। এরা তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়। মুখে যতই বলুক এরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। মানুষ সব দেখছে এখন।

ওই যুবক কি ভাবে তৃণমূল নেতাদের নাম ব্যবহার করে হুমকি দিল যুবতী এবং তার পরিবারকে। তবে কি সত্যিই শাসকদলের নেতাদের হাত রয়েছে তার মাথায়। না কি শাসকদলের নাম ব্যবহার করে বাঁচতে চেয়েছিল ওই যুবক। অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।