আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ যুগ পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শুভ ১৩৫ তম শুভ জন্ম মহোৎসব, মহা আরম্বরে পালিত হল সোনামুখী সৎসঙ্গ বিহার কেন্দ্রে। এই জন্ম স্মরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আবৃত্তি , বসে আঁকো প্রতিযোগিতা সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতা। এছাড়াও ছিল ভক্তিগীতি আর নৃত্যানুষ্ঠান। ছিল হারিয়ে যাওয়া শিল্প পুতুল নাচ। তবে ৫ই ফেব্রুয়ারি, রবিবার দিনটা ছিল বেশ জমজমাট। এদিন ভোর পাঁচটায় ঊষা কীর্তন আর সকাল ৬:১৪ মিনিটে সমবেত বিনতি প্রার্থনা, নাম জপ, শ্রীশ্রীঠাকুরের অমিয় গ্রন্থাদি পাঠ আর সকাল ন’টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহ সোনামুখী শহর পরিক্রমা করা হয়। বেলা বারোটা থেকে বৈকাল পাঁচটা পর্যন্ত ভান্ডারার আর প্রসাদ বিতরণ হয়। হাজার হাজার মানুষ এই প্রসাদ গ্রহণ করেন। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে অগণিত মানুষ যোগ দেন।এসেছেন ভক্তির টানে, পরম প্রেমময় অনুকুল ঠাকুরের মহিমায়। সেই অর্থে শ্রী শ্রী অনুকুল ঠাকুর সদ্ গুরু, মহান ব্যক্তিত্ব উনার। অনুকূল ঠাকুরের বাণী অনেক মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে, অনেক অসহায় মানুষের একমাত্র আশা,ভরসার আশ্রয়স্থল যুগ পুরুষোত্তম শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র। অনিন্দ্য সুন্দর, অপূর্ব সুন্দর সোনামুখীর অনুকুল ঠাকুর মন্দির খুবই আকর্ষণীয়। মন্দির দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। সোনামুখীর এই সৎসঙ্গ বিহারকে তাই বলা হয় দ্বিতীয় দেওঘর।