মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, দুই ছেলে হাঁটাচলা করতে পারেনা অভাবের সংসার, পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করলেন নদীয়ার চাকদহের অন্যতম মুখ দিপেন্দ্রনাথ ভৌমিক।

0
165

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, দুই ছেলে হাঁটাচলা করতে পারেনা অভাবের সংসারে সংসার ছেড়ে পালালো বাবা। ঘটনাটি নদীয়ার বীরনগর পৌরসভা এর 13 নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পালিত পাড়া এলাকার। দীপক সরকার (22), পংকজ সরকার ( 17) এদের দুজনের কেউই কথা বলতে পারে না। না পারে ,ঠিক মত চলাফেরা করতে, বয়স যত বাড়ছে ততোই আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওই দুই যুবক। কঠিন ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত ওদের তিনজনের।তিনজনের সংসারে তার বাবা কালু সরকার হকারি করে সংসার চালাতেন। মা, অর্চনা সরকার তিনি পরের বাড়িতে রান্নার কাজ করে সংসারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন গত দু’বছর আগে মা অর্চনা সরকারের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রান্নার কাজটিও চলে যায় তার , সেই যে তার বাবা বাড়ি ছেড়েছেন আর বাড়ি আসেনি। কাজ চলে যাওয়ার পর আর সেভাবে কাজ জোটেনি । এখন অভাব কে সঙ্গী করে চলতে হচ্ছে তাদের তিন জনের। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে সরকারের দেওয়া এক খানি ঘর,এবং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের 500 টাকা। একদিকে ক্যান্সারের চিকিৎসা অন্যদিকে দুই ছেলের সেবা করা, কঠিন সংগ্রামের মুখে দাঁড়িয়ে ওদের সকলে। সরকার পরিবার এখন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে তাকিয়ে। ছোটবেলায় বেশ চলাফেরা করত তারা দুজনে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অসাড় হয়ে যাচ্ছে তাদের শরীর। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা তাদের কাছে মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে খাওয়া অন্য দিকে চিকিৎসা কোনটাই ঠিক ঠাক হচ্ছেনা। ওই দুই ভাই কথা না বলতে পারলে কি হবে অসম্ভব সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন তারা। গত পৌরসভা নির্বাচনে এই এলাকার কাউন্সিলর গোবিন্দ চন্দ্র পোদ্দার তার নজরে আসবার পর তিনি যতটা পেরেছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন, এবারে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অন্য এক প্রতিবন্ধী মানুষ। বীরনগর এর এই অসহায় মানুষের মুখের করুন কাহিনী আমরা দেখেছিলাম কয়েক মাস আগে সেই ছবি দেখার পরেই মনে দাগ কেটে যায়। পেশায় চাকুরীজীবী ,নেশা মানুষের পাশে সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো। বছরের অন্য সময় যখন তিনি বাড়িতে আসেন খুঁজে বেড়ান এমনই কিছু মানুষদের যারা একেবারেই অসহায়। প্রতিবছরই এমন কিছু মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর তার অঙ্গীকার। তাদের কে সাহায্য করতেই নদীয়ার চাকদহের অন্যতম মুখ দিপেন্দ্রনাথ ভৌমিক। তিনি তার কষ্টার্জিত অর্থের তিন দিনের পারিশ্রমিক যা কিনা তিন মাসের সংস্থান হবে ওই পরিবারের। তাদের হাতেই তুলে দিলেন নিজে। চাঁদের এই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরে তিনি নিজে যেমন খুশি কিছুটা আহারের বন্দোবস্ত করায় খুশি ওই পরিবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here