চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিদিন বিদ্যালয়মুখি করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিনব প্রচেষ্টায় আপ্লুত গ্রাম ।

0
264

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিদিন বিদ্যালয়মুখি করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভিনব প্রচেষ্টায় আপ্লুত গ্রাম । সরকারি সাহায্য ও নিজেদের বেক্তিগত অর্থ খরচ করেই বানিয়েছে আস্ত এক রেল গাড়ির কামরার শ্রেণী কক্ষ। বর্তমানে গ্রামের পাঁচ থেকে দশ বছরের শিশুরা বেলা সারে দশটার পর আর বাড়িতে থাকতে চায় না। তারা বইয়ের ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে চলে আসে চকরাম এডুকেশনাল এক্সপ্রেসের ট্রেনের বগিতে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের খেলার সরমজ্জাম দোলনা,ঢেকি, স্লিপার নিয়ে খুশি খুদেরা। আমগাছের ছায়ায় হুটোপুটিতে বোঝাযায় এটা তাদের নিজস্ব বিচরন ক্ষেত্র। বিদ্যালয়ের ফুল ও সবজি বাগানের পরিচর্যায় খুদেদের উদভাবনার প্রতিযোগিতা যেন” কিছু করে দেখাই”। প্রসঙ্গত, আদিবাসী অধ্যুষিত চকরাম গ্রামের প্রায় আশি শতাংশই তপশিলি উপজাতি ও তপশিলি জাতির বসবাস। গ্রামের মাঝখানে চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। এদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাগেল ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা ক্লাসের পর মিড ডে মিলের আগে বিদ্যালয়ের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমে গাছের ছায়ায় নাচগানের তালিমে ব্যাস্ত। বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষিকা জানালেন আজ মিড ডে মিলের বিশেষ পুষ্টি যোজনায় ছাত্র ছাত্রীদের মুরগীর মাংস ও পোলাওয়ের ব্যাবস্থা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ১৯৭১ সালের ভারত পাকিস্তান( বাংলাদেশ) যুদ্ধের বীর শহীদ চুড়কা মুর্মুর স্মৃতি স্তম্ভ বিদ্যমান । জানাযায় সেই যুদ্ধে গ্রামের যুবক চুড়কা মুর্মু ভারতের সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে গিয়ে পাকিস্তানের সেনার গুলিতে শহীদ হন। প্রতিবছর আগষ্ট মাসের নির্দিষ্ট দিনে এখানে শহীদ দিবস পালন করাহয়। বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত শিক্ষক বলাই প্রামাণিক জানান বর্তমানে বিদ্যালয়ে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও একশো কুড়ি জন ছাত্র ছাত্রী আছে। দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির পর বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্রীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের ঘর সহ বারান্দাকে রঙের প্রলেপে একটি রেল গাড়ির রুপ দেওয়া হয়েছে। খেলা ধুলার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। তিনি জানান সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয় এগিয়ে চলছে। বালুরঘাট ব্লকের মধ্যে ইতিমধ্যে চকরাম প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মল বিদ্যালয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। তিনি বলেন সরকারি সাহায্য পেলে আগামিতে ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার শীর্ষে পৌঁছে দিতে আরো কিছু পরিকল্পনা আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here