মহানন্দা নদী তীরের পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করলেন রাজ্যের উন্নয়ন,জলপথ ও সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

0
121

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- —ভোটের মুখে বড়সড় দাবি পূরণ হল এলাকাবাসীর।দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে খুশি দুই বিধানসভার মানুষ।নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার।কয়েক হাজার বাসিন্দার কথা ভেবে মহানন্দা নদী তীরের পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হচ্ছে।বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলান্যাস করলেন রাজ্যের উন্নয়ন,জলপথ ও সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।মালদার মালতীপুর ও চাঁচল বিধানসভার সীমান্ত পাড় দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী।ভৌগলিক অবস্থানে কয়েকটি গ্রাম পড়ে গিয়েছে ওই নদী তীরে।অনেকে নদীর পাড়ে পাকা বাড়ি নির্মাণ করেছে।স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে কয়েক হাজার বাসিন্দা।কিন্তু বর্ষা আসলেই ঘুম উড়ে যেত তাদের।কিছু কিছু বসত বাড়ি ২০১৭ সালের বন্যায় মহানন্দায় ডুবে গিয়েছে।সেই ভয়াবহ দুর্দশা থেকে বারবার আন্দোলন নেমেছে এলাকার মানুষেরা।সংবাদমাধ্যমও বার বার ছুটে গিয়েছে ওই ভাঙন কবলিত এলাকায়।
অবশেসে দীর্ঘদিনির দাবি পূরণে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার।সেচ ও জলপথ দপ্তরের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে নদী ভাঙন রোধের কাজ।

সেচ দপ্তরে সূত্র জানা গিয়েছে,চাঁচলের গালিমপুরে ২১০০ মিটার ও মালতীপুরের বলরামপুরে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের পাড় বাঁধানো হবে।পাথরের বোল্ডার দিয়ে মজবুত করে নদী পাড় বাঁধানো হবে বলে সেচ দপ্তর দাবি করছেন।

ওই দপ্তরের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছে,দুটি কাজের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।ইতিমধ্যে কাজের সামগ্রী এলাকায় নিয়ে আসা হ
য়েছে।বর্ষার আগেই কাজ সম্পন্ন হবে।তবে এলাকার মানুষ কাজের তদারকি করলে ভালো হবে।
জানা গিয়েছে গালিমপুর ও বলরামপুরে পৃথকভাবে শিলান্যাস করা হয়।উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন,সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন,মালতীপুর ও চাঁচলের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি ও নীহাররঞ্জন ঘোষ,চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুমার কুণ্ডু সহ প্রমুখরা।