বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা:- আমাদের এই বাংলার পাশাপাশি এই জেলার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে কৃষি। বিভিন্ন শস্যের চাহিদার সাথে তাল মেলাতে দিন দিন সব শস্যের উৎপাদনের পরিধি বেড়ে চলেছে। ভবিষ্যৎ চাহিদা ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সৃজনশীল পদ্ধতিতে টেকসই ও স্বনির্ভর কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য কৃত্রিম সারের উপর নির্ভর না করে জৈব্য সারের দিকে ঝুকছে এই জেলার কৃষকরাও।আর তাদের এই কাজে সহয়তা করতে এগিয়ে এসেছে জেলায় জৈব্য সার তৈরী প্রশিক্ষন দিয়ে সার তৈরীর মধ্যমে চাষ ও কৃষক ও আদিবাসি মহিলাদের উপার্জনশীল করে তোলার কাজে সহয়তা করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যা ” চেষ্টা”।
জলবায়ু পরিবর্তনের এ যুগে কৃষি পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে বর্তমান ও ভবিষ্যতের খাদ্য দ্রব্যের যথাযথ চাহিদা পূরণ করা তথা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা এবং জৈব সার ব্যবহার করা হয় তবে মাটির কোন ক্ষতি হয় না। সর্বোপরি এটি ফসলের ফলন বৃদ্ধি করে এবং গুণগতমান বৃদ্ধি করে এবং সঞ্চিত শস্যের সঞ্চয়ের ক্ষমতা বাড়ায়।জৈব সারের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল এটি রাসায়নিক সার অপেক্ষা অধিক সময়ের জন্য মাটিতে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সরবরাহের মাধ্যমে পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং মাটির গঠন, বুননশৈলী ও মিশ্রণকে সূক্ষ্ম ও সুচারু করে মাটিতে বায়ুপ্রবাহ ও জল ধারণক্ষমতা বাড়ায় এবং মূলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। পক্ষান্তরে, জৈব সারের প্রয়োগ কোন প্রকার দূষণ ছাড়াই স্বল্প ব্যয়ে আশানুরূপ ও গুণগত মান সম্পন্ন কৃষিজ পণ্যের উৎপাদন ও চাহিদা মেটাতে উপযোগী।
সেদিকে লক্ষ রেখেই আজ বালুরঘাট শহরের অদুরে জৈব গ্রাম ফুলঘড়া তে স্থানিও কৃষিজিবি ও আদিবাসিদের নিয়ে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থ্যার দ্বারা একটি শিবির অনুষ্ঠিত হয়। সংস্থ্যার ডিরেকটর জানান গ্রামে তো কোন শিল্প হয় না, তাই এই কেচো সার তৈরির প্রশিক্ষনের মধ্যমে গ্রামের কৃষক ও আদিবাসি মহিলাদের উপার্জনশীল করে তাদের স্বনির্ভর করে তোলাই আমাদের মুল লক্ষ।তিনি আরো জানান ইতিমধ্যে আমাদের প্রশিক্ষনে আদিবাসি মহিলাদের দিয়ে তৈরি ২০ কেজি জৈব সার এই গ্রামের কৃষকরা নিয়েছিল। সেই সার প্রয়োগ করে তারা উপকৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তারা এই সার দিয়েই চাষ করতে যেমন আগ্রহী তেমনি আমরাও চাই এই সার তৈরীর মধ্যে দিয়ে আদিবাসি মহিলারাও তাদের রুটি রুজির পাশাপাশি হাতে নগদ কিছু পেয়ে তারা পায়ের তলায় শক্ত মাটিতে দাড়াক।
কৃষি ব্যবস্থায় কৃত্রিম সার অপেক্ষা জৈব সারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।এখন দেখার এই সংস্থ্যার সহয়তা ও জেলার উদ্যমী কৃষক ও আদিবাসি মহিলারা ।কতটা নিজেদের উপকৃত করে তুলতে পারেন ও জেলাকে পরিবেশ বান্ধব হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গড়ে তুলতে পারেন।