সাঁকরাইল রামচন্দ্রপুর সুর ও সাধনা সংগীতালয়ের বাৎসরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো।

0
283

প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া :- বর্তমান প্রজন্ম অধিকাংশ সময় এন্ড্রয়েড ফোনে ডুবে থাকে বিভিন্ন গেমের মাধ্যমে নিজেদের উদ্বুদ্ধ করে রাখে সেই পরিস্থিতিতে সঙ্গীতের মাধ্যমে নিজেদের মন কে উদ্বুদ্ধ করার যে প্রচেষ্টা তা সমান গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন এই সুর ও সাধনা সঙ্গীতালয়। সুর ও সাধনার বাৎসরিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো সাঁকরাইল অমর সংঘ হল প্রাঙ্গণে। দীর্ঘ ১২ বছর সুনামের সহিত সাঁকরাইল রামচন্দ্রপুর কো-অপারেটিভ এলাকায় নিজ ভবনে সঙ্গীতালয়ের বিভিন্ন সংগীত নৃত্য আবৃত্তি অঙ্কন এবং গিটারের শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন শিক্ষিকা কৃষ্ণা রায়। সাঁকরাইল অমরসঙ্গ হল প্রাঙ্গনে কলকাতা চারুকলা কেন্দ্রের অনুমোদিত শিক্ষক তপন মান্না ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নিলেন। বাংলার সৃষ্টি ও কৃষ্টিকে ধরে রাখতে সঙ্গীতের অবশ্যই প্রয়োজন জানালেন শিক্ষক। তিনি আরো বললেন বাংলার সংস্কৃতি শেষ হয়ে যাওয়া মানেই বাঙালি শেষ হয়ে যাওয়া অর্থাৎ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে অংকন নৃত্য সংগীত আবৃত্তি বিভিন্ন মাধ্যমে ছেলে মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করতে বাবা মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে এমনই আহ্বান করলেন শিক্ষক। এন্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে ছেলে মেয়েরা ডুবে না থেকে গান বাজনা আবৃতি অঙ্কন নৃত্যের মাধ্যমে যদি তারা মনোনিবেশ করে তাহলে তিনি মনে করেন আত্মকেন্দ্রিক ভাবে সেই সকল ছেলেমেয়েরা একটা ভালো মনের মানুষ তৈরি হবে বললেন শিক্ষিকা। বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন সংস্কৃতিক ক্রিয়া কলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিত এমনই মত শিক্ষক শিক্ষিকাদের। সুষ্ঠু সংস্কৃতি ভাবা সম্পন্ন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে এই সুর ও সাধনা সংগীতালয় সবসময় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এমনই মত শিক্ষিকার। সংগিতালয় সংগীত শিক্ষণরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা বললেন শিক্ষিকা খুব যত্ন সহকারে সমস্ত বিষয় শেখান । তারা খুবই আপ্লুত এমন শিক্ষিকাকে পেয়ে। ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী এই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিল জানালেন শিক্ষিকা কৃষ্ণা রায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here