অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরলেন সাগরদিঘির বিধায়ক,সেই প্রসঙ্গ সহ একাধিক প্রসঙ্গ নিয়ে খড়গপুর থেকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।

0
216

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- যখন তাকে টিকিট দিয়ে ছিল কংগ্রেস। জানতেন না ওর সম্বন্ধে। ও কবে কংগ্রেস করেছ। ওর টাকা পয়সা আছে, বড় ব্যবসায়ীর ছেলে তাই টিকিট দিয়ে দিয়েছে। এখন সব থেকে বড় দুঃখের বিষয় সংখ্যালঘু সমাজ এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে এসেছে প্রতারিত হয়েছে, বঞ্চিত হয়েছে। তারাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে উনাকে জিতিয়েছিলেন। তারা এখন সব থেকে বেশি হতাশ। যাকে ওনারা বিশ্বাস করেন তারাই উনাদেরকে ধোকা দেয়। তারা এখন কি করবেন। কংগ্রেস, সিপিএমের ভোটার যারা তারা তো গত বিধানসভায় আমাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন। তারা দেখেছে তাদের ভোট নিচ্ছে আর তাদের সাথে তৃণমূল গদ্দারি করছে। তারা আবার তৃণমূলকেই শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, দুধে আমে এক হয়ে গেছে আটি পড়ে আছে সিপিএম আর কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে প্রাতভ্রমনে গিয়ে খড়গপুরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমস্তদের সাথে চা চক্র করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস-বামের সাগরদিঘি মডেলে ধাক্কা। তৃণমূলে বাইরন বিশ্বাস। অভিষেকের হাত ধরে জোড়াফুলের পতাকা ধরলেন সাগরদিঘির বিধায়ক। তারপরই সেই প্রতিবাদে সাগরদিঘিতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের সেই প্রসঙ্গ নিয়ে এমনটাই বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি অভিষেক ব্যানার্জি বলেছেন আমাদের সৌজনতা, আমাদের দুর্বলতা নয়৷ সিপিএমকে মমতা বন্দোপাধ্যায় তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে আর বিজেপি কে?বিজেপি এখনও মানুষের ক্ষমতা দেখেনি৷ সব চোর, জোচ্চোর, চিটিংবাজ বিজেপিতে যায়। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন
তৃণমূল আবার সৌজন্যবোধ কবে শিখলো। ছোটলোকদের সৌজন্যবোধ হয় নাকি। মমতা ব্যানার্জির ভাষা শুনেছেন এটা সৌজন্যবোধ। প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে, রাষ্ট্রপতি সম্বন্ধে, আমাদের সম্বন্ধে কি কথা বলেননি উনি। আর উনার মন্ত্রী সন্রীর কথা তো কানে শোনায় যায় না। কথা শুনলে গঙ্গা স্নান করতে হয়। ওই জন্য সৌজন্যের কথা বলবেন না কালীঘাটে থাকেন শান্তিতে থাকুন। এসি রুম থেকে বেরোবেন না, গায়ে রোদ লাগতে পারে, ইটো পড়তে পারে। অন্যদিকে কুড়মি নেতাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে বলেন। তৃণমূলের নেতারা কুড়মি নেতাদের কিছু টাকা পয়সা দিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন এইভাবে তাদের কিনে নেবেন। তারা পরিকল্পিতভাবে ওদের দিয়ে আমার বাড়িতে আক্রমণ করিয়েছিলেন। যারা করেছিল তারা মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের লোক ছিল না। পুরুলিয়া থেকে এসেছিল। তাদের প্রতি যে বঞ্চনা করেছে তৃণমূল তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এদিকে বলা হচ্ছে কুড়মি সমাজ করেনি বিজেপি করেছে। তাহলে কুড়মি সমাজের নেতাদের প্রতি এখন প্রতিহিংসা কেন। একজন টিচার তাকে ট্রান্সফার করা হচ্ছে কোচবিহারে। তাকে জেলেও ঢুকানো হচ্ছে। তার সঙ্গে সঙ্গে একাধিক নেতাকে ঢোকানো হয়েছে। কোন প্রমাণ নেই যে ওরা আক্রমণ করেছে। কোনো প্রমাণ নেই কুড়মিরা গাড়ি ভেঙেছে বলে। তাহলে গাড়িটা ভাঙলো কে। গাড়িটা নিজেরা ভেঙ্গে অভিষেককে নেতা করার চেষ্টা করছেন। একটা ভিডিও ফুটেজ এলোনা। লাখ লাখ লোকের হাতে মোবাইল ছিল, ছবি তুলছিল। হাজার হাজার পুলিশ ছিল কেউ দেখলো না। এত মিডিয়ার লোক ছিল আমরা সবাই দেখতে ছিলাম। সেখানেই গাড়ি ভাঙাতা দেখলাম না, হঠাৎ করে ভাঙ্গা গাড়ি ঢুকে গেল। এইসব চালাকি করবেন না। এইসব করে কুড়মি সমাজকে বদনাম করছেন। জঙ্গলমহলের মানুষকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here