নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- প্রায় ৩০০ বছরের চিরাচরিত নিয়ম মেনে এখনো পূজিত হয়ে আসছে নদীয়ার রানাঘাটের বিরনগরের মুস্তাফি জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। জানা যায় ১৬৮৩ খ্রিস্টাব্দের রামেশ্বর মিত্র মোস্তাফি এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন, কিন্তু তার বাস্তুভিটে ছিল নদীয়ার শান্তিপুরে। কারণবশত শান্তিপুর ছেড়ে তিনি বীরনগরে গিয়ে জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন, তবে পূজোর ক্ষেত্রে আরম্বর ছিল না বরাবরই। দেবী আরাধনা হতো খড়ের চাল ও কাঠের একটি মন্দিরে, যা স্থাপিত হয়ে থাকে দীর্ঘ বছর ধরে। জানা গেছে জমিদার রামেশ্বর মিত্র মুস্তাফির ছেলে রঘুনন্দন স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন দক্ষিণ দিকে মন্দির প্রতিষ্ঠা করার জন্য, আর সেই স্বপ্নআদেশের নির্দেশ মতোই স্থাপন করা হয় মন্দির। একটা সময় ৫২ টা বলি হত, কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তনে বন্ধ করা হয়েছে বলি। দেবীর পূজোর দিন ওই জমিদার বাড়িতে এক রহস্যময় হোম যজ্ঞ হয়,
বেলকাট দিয়ে, যা টানা তিন দিন ধরে একইভাবে জ্বলে। ১৯০০ সালে খরের মন্দির ভেঙে যায়, এরপর দেবী আরাধনার জন্য তৈরি হয় একটি ট্রাস্ট কমিটি, তারপরে নতুন রূপে মন্দির স্থাপন হয়। দেবীর ভোগের ক্ষেত্রে রয়েছে একটু অন্য নিয়ম, কাঁচা ভোগ দিয়ে দেবীকে নিবেদন করা হয়।
- রাজ্য
- দক্ষিণ বাংলা
- দুর্গাপূজা ২০২৩
- দেশ
- ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা
- নদীয়া
- বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো
- বিনোদন
- বিবিধ
- লাইফস্টাইল