গঙ্গারামপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- শ্বাসরোধ করে ৯বছরের বিশেষ চাহিদা সম্পুর্ণ শিশুকন্যাকে খুন করার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন অঘটন ঘটিয়েছে ওই মহিলা বলে খবর। ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে ওই মহিলা। এদিকে এমন ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে? গঙ্গারামপুর থানার নন্দনপুর পাটুল এলাকায়।ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস জানিয়েছে মৃত শিশুকন্যার নাম আফরিন পারভিন (৯) বাবা আবদুল আজিজ মিঞা। পেশায় রাজমিস্ত্রি।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালেও রাজমিস্ত্রির কাজে চলে যান আব্দুল আজিজ। সেইসময় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই গৃহবধূ রিম্পা বিবি।
বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে ৯ বছরের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকন্যাকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে তার মা বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ননদ ও শাশুড়িকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ৩ বছরের ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই মহিলা। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা পর ঘরে ঢুকে শিশুকন্যার মৃতদেহ দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এদিকে ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন ওই মহিলা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জন্মের পর থেকেই বাক প্রতিবন্ধী ছিল ওই শিশুকন্যা। যার কারণে জন্মের পর থেকেই ওই শিশুটিকে নানাভাবে অবহেলা করত তার মা। দীর্ঘ কয়েক বছর আগে মেয়েকে রেখে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছিল ওই মহিলা বলে খবর। মেয়ে বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন হবার কারণেই মেয়েকে খুন করেছে তার মা এমন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মৃত শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে গ্রামবাসীরা।
এদিকে ঘটনার পর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত মহিলাকে নিজেদের হেফাজতে নেবার পাশাপাশি মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Leave a Reply